উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের সম্ভাবনাময় জনপদ কমলনগরের মতিরহাট মেঘনাতীর। যেখানের দর্শনীয় স্থান যেভাবে পর্যটকদের হৃদয়কে কেড়ে নিচ্ছে, তেমনি এই অঞ্চলের ফেরিঘাট সম্ভাবনা লাখ লাখ মানুষের মাঝে স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে। ভোলা-লক্ষ্মীপুরের মোট দুরত্ব ১৮ কিলোমিটার। যার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে মতিরহাটকে চিহ্নিত করা যায়। যা ফেরির মাধ্যমে যাতায়াতে সময়ের দুরত্ব মাত্র ১ ঘণ্টা।
অন্যদিকে, এর ১০ কিলোমিটার উত্তরে মজু চৌধুরীরহাটে অবস্থিত ভোলা-মজু চৌধুরীরহাট। যেখান থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে আরো বাড়তি ১০ কিলোমিটার মোট ২৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সময়ের প্রয়োজন হয় আরো দেড় ঘণ্টা! কিন্তু মতিরহাট থেকে জেলার প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছতে যানবাহন দিয়ে সময়ের প্রয়োজন হয় মাত্র আধ ঘণ্টার। এছাড়াও মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাটে লঞ্চ যাতায়াতে রয়েছে নানান সংকট। তারমধ্যে নাব্যতা সংকট বেশ কয়েক বছর ধরে প্রকট আকার ধারণ করে আছে। ৩টি পয়েন্টে মাত্র ৩-৪শ ফুট ডুবো চরের জন্য ৯-১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ফেরি যাতায়াত করতে হচ্ছে। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনজরদারিতে চরম ভোগান্তিতে যাতায়াত করছে লাখ লাখ যাত্রী। সময়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে উদ্দেশ্য করে এই ফেরি রুটটি দিয়ে যাতায়াত করলেও প্রয়োজনটা ঠিক অসম্পূর্ণই থেকে যায়।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে যাতায়াতকারী উপকূল সন্ধানী সংবাদকর্মী ও উপকূল বন্ধু রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেন, “ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরের দিকে তাকালে মতিরহাট খুবই স্পষ্ট কাছে মনে হচ্ছে। কিন্তু মতিরহাটের কাছাকাছি ফেরিটা এসেই উত্তর দিকে গিয়ে সময় অপচয় হচ্ছে। যা কোন মতেই
গ্রহণ যোগ্য নয়”।
বিষয়টি নিয়ে সার্বিকভাবে আলাপকালে বৃহত্তর নোয়াখালীর সবচেয়ে বড় মতিরহাট ইলিশ ঘাটের সভাপতি ও স্থানীয় চর কালকিনি ইউপি সদস্য তরুণ উদ্যমী মেহেদী হাসান লিটন বলেন, “ভোলা- লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে মতিরহাটের বিকল্প ফেরিঘাট কোথাও হতে পারে না। ডুবোচরগুলো ডেজিং না করে ও
১০ কিমি না ঘুরেই মতিরহাটে ফেরি ইস্টেশন করলে সময় আর অর্থ বাচাঁর সাথে সাথে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে কমলনগর-রামগতি রক্ষা পাবে”।
আর এই বিষয়গুলো আমলে নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ যুগোপযোগী যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মতিরহাটে ফেরিঘাট বাস্তবায়নে অতি দ্রুত কার্যকরী প্রদক্ষেপ নিবে মন প্রত্যাশা অত্র এলাাকার লাখ লাখ মানুষের।
পাঠকের মন্তব্য