লক্ষীপুরে মেঘনাতীরে মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় ঘর- বাড়িগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। লন্ডবন্ড হয়েছে শতাধিক ঘর-বাড়ি। ঘর বিধ্বস্তে এ পর্যন্ত ১৫জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই কমলনগরের চর মার্টিন ও চর কালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর বর্তমানে তাদের সবার অবস্থা আশাঙ্কামুক্ত। কিন্তু ঘর বিধ্বস্তে অনেকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়াতে পরিবারে দেখা দিয়েছে নানান সংকট। কোথাও কারো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে আবার কোথাও কারো বাড়ির মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সবুজ গাছপালা মাটিতে ভেঙ্গে পড়েছে। কোন কোন স্থানে যানবাহন কিংবা হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্রটিতে বন বিভাগের ছগুলো ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কোন কোন বাড়ির গাছ ভেঙ্গে ঘরে পড়ায় মুহুর্তের মধ্যে তা বিধ্বস্তে মানুষের মাঝে আতংকের সৃষ্টি করে।
হঠাৎ আঘাত হানা ঝড়ো হাওয়াটিতে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন কমলনগর মেঘনাতীরের আইয়ুব আলী মাঝি (২৮) জানান, ঘুমের মধ্যে হঠাৎ প্রকট শব্দ কানে লাগলো। উঠেই দেখি ঘরের ছাল উড়ে গেছে অন্যের বাড়িতে। যা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি! বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় কৃষি কমকর্তা মোঃ ইউছুপ আলী (৩৫) একুশ শতককে বলেন, গভীর রাতে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা আমন চাষে প্রধান বাঁধা হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, তীব্রভাবে আঘাত হানা ঝড়ো হাওয়াতে প্রচুর পরিমাণে সবুজ উপকূল ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি তছনছ হয়েছে। যার
বেশির ভাগই দরিদ্র-পীড়িত মানুষ। সকালে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরলে আরো নজরে পড়ে, ঝড়ো হাওয়ায় ঘরগুলো তছনছ হয়ে ক্ষতিতে পড়া
মানুষরা খোলা আকাশের নিচে বসাবস করে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে কমলনগরের চর মার্টিনের ইউপি সদস্য মোঃ নুরুল ইসলাম পারভেজ একুশ শতককে বলেন, আমি সকালে ১ কিলোমিটার ঘুরেছি। যেখানে ৬-৭টি ঘর বিধ্বস্ত দেখেছি। এদের মধ্যে কিছু নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে গাছপালাহীন বাড়ির আর কিছু ঘর- বাড়ি পুরনো। এদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন। তাই জরুরী ভিত্তিতে সরকারিভাবে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
পাঠকের মন্তব্য