উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রবি শস্য মৌসুমে করা ফসলগুলোতে লবণাক্ততার প্রভাব তীব্র আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। এতে করে কৃষকদের চাষ করা বিভিন্ন ধরণের ফসলের ফলন হুমকির মুখে। অনেক কৃষক ঋণগ্রস্ত হয়ে সাবলম্বী হওয়ার আশায় প্রচুর অর্থ খরচ করে থাকেন এই রবি শস্যগুলোর পিছনে। যার মধ্যে সয়াবিন, বাদাম, মরিচ বেশ উল্লেখযোগ্য।
ফসলে নোনাজল সমস্যা মোকাবেলায় যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েছে কৃষকদের মাঝে। সমস্যাটি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে, সেই সম্পর্কে কোন কৃষকেরই ভালো ধারনা নেই।
জমিতে লবণাক্ততার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মধ্য চরমার্টিনের এক কৃষক মোঃ ইউছুপ আলী (৩৫) তিনি বলেন, ‘আমি এক একর জমিতে একপাশে সয়াবিন ও অন্যপাশে মরিচ চাষ করেছি। কিন্তু আমার ১ বিঘা জমিতে নোনা (লবণাক্ততা) হওয়াতে আমার চাষ করা সয়াবিন আগুনের মতো জ্বলে গেছে।’
স্থানীয় কৃষি সার ও কীটনাশক ডিলাম মোঃ নুরুল ইসলাম পারভেজ জানান, ‘জমিতে লবণাক্ততা প্রতিরোধে কৃষকরা সাধারণত ম্যাগসার ব্যবহার করে থাকেন। এতে কৃষকদের জমি কিছুটা উর্বর হয় এবং ফসলেও কিছুটা ভালো ফলন আশা করা যায়। এছাড়া লবণাক্ততা প্রতিরোধে তেমন কোন যুগান্তকারী ঔষধ আমাদের কাছে নেই।’
এই সংকট মোকাবেলায় সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে কোন সচেতনতামূলক কর্মকান্ড চোখে পড়ছেনা। এজন্য প্রশাসনিকভাবে দেশের এই বৃহৎ কৃষক জনগোষ্ঠীর জমিতে লবণাক্ততা প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশা ভূক্তভোগীদের।
পাঠকের মন্তব্য