রাজন হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসি বহাল

সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই সেই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সিলেটের সবজিবিক্রেতা শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যার দায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তিন আসামির সাত বছর করে কারাদণ্ড ও দুই আসামির এক বছর করে সাজার রায় বহাল রেখেছেন আদালত। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া এক আসামির সাজা বদলে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রাজন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ১০ আসামির মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও পলাতক জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয়। তাঁদের সেই আদেশ বহাল রয়েছে।

কামরুলের সহযোগী নূর মিয়ার যাবজ্জীবন সাজা বদলে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে (পলাতক) সাত বছর করে কারাদণ্ড, দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর এক বছর করে কারাদণ্ড বহাল রয়েছে।

পলাতক পাভেল আহমেদ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি আপিল ও জেল আপিল করেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নূর মিয়ার আপিলও ছিল। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান আলম বলেন, তিনি রায়ে সন্তুষ্ট। ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তাঁর প্রত্যাশা, দ্রুত আসামিদের দণ্ড কার্যকর হোক।

সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই সেই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৭ কার্যদিবস বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন।

ঘাতক কামরুল সৌদি আরবে ধরা পড়ার পর:

সর্বশেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:৪২
প্রথম আলো

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন