দূর্ঘটনা কবলিত, ঝুকিপূর্ন, বিপদজনক এক অভিভাবকহীন সড়কের নাম লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাট- তোরাবগঞ্জ সড়ক । যে সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, লেগুনা, ট্রলি, সিএনজি, রিকসা, অটোরিকসা-সহ হাজার হাজার যানবাহন।
তাছাড়া তিনটি ইউনিয়নের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষার্থীসহ কয়েক লাখ মানুষ চলাচলের প্রধান সড়ক হিসেবে এটিই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কতৃপক্ষের অবহেলা আর নজরদারির অভাবে দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে বর্তমানে ৬ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী।
কমলনগরের মতিরহাট অঞ্চলে মেঘনা নদী অবস্থিত, যা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এজন্য মেঘনা নদী দেখতে হলে কেবল সড়কটিই পর্যটকদের প্রধান মাধ্যম। শুধু স্থানীয়দের চরম দূর্ভোগ নয় তাই সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সঠিকভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে পর্যটন শিল্প! বৃহত্তর নোয়াখালীর সবচেয়ে বড় “ইলিশ ঘাট”, উপকূলের মধ্যে অন্যরকম দর্শনীয় স্থান, আকর্ষণীয় নারিকেল-সুপারির বাগান মতিরহাট মেঘনাতীরে অবস্থিত। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয় এই এলাকা। যে মুর্হুতেই মতিরহাট যাওয়া পড়ে, সে সময়েই পর্যটকদের পদচারণা দেখলে কক্সবাজারের কথা স্মরণে আসবেনা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
এছাড়াও এই টাটকা রুপালী ইলিশ দেশ-বিদেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে রপ্তানির প্রধান মাধ্যমও সড়কটি। পর্যটকরা ভ্রমণে এসে এখান থেকে ক্রয় করেন ঝিলিক ঝিলিক করা গাঁয়ের তাজা ইলিশ। প্রতিদিন যে রাস্তাটি দিয়ে টন টন ইলিশ রপ্তানী হচ্ছে আর সেই রাস্তাটির অধিকাংশ অংশ জুড়ে বিধ্বস্ত আর বড় বড় ভাঙ্গা দেখে সাধারণ মানুষ, চালক, যাত্রীরাসহ সবাই হতবাক। দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার সড়কটি অতিক্রম করলে নজরে পড়ে, সড়কটির ৮৫ ভাগ বিধ্বস্ত হয়ে বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা হতাশা প্রকাশ করেছে এলাকাবসী।
এ সম্পর্কে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লার সাথে আলোচনা হলে তিনি একুশ শতককে বলেন, ‘উপজেলার মধ্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটির সংস্কারের কথা জেলা উন্নয়ন বিষয়ক সভায় বলেছি। আশাকরি সড়কটির দ্রুত সংস্কার হবে’।
পাঠকের মন্তব্য