মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় আজ শনিবার সকালে আবার ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আলোকস্বল্পতার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করা হয়।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, সাড়ে নয়টার দিকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান শুরু করেছে সোয়াট। সঙ্গে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে গুলির শব্দের পর সকাল পর্যন্ত আর কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি। অভিযান স্থগিত ঘোষণার পরে গতকাল ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা এই বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা বলে সন্দেহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেটি শনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় সোয়াটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। অভিযানে পুলিশের কনস্টেবল কায়সর আহত হন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরিতে দক্ষ একজন ওই বাড়িতে আছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা ওই বাড়ি থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শেষ হওয়ার পর ওই বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ।
পাঠকের মন্তব্য