সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে গাজী মো. মিরাজ হোসেন নামের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজধানীর এক নারী চিকিৎসকের। অভিযোগ উঠেছে, দুজনের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে গেলে মিরাজ নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে নারী চিকিৎসককে বাধ্য করেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর নারী চিকিৎসক বিয়ের চাপ দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন মিরাজ। পরে ওই নারীর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিরাজ তাঁদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ফেসবুকে একাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ওই নারী চিকিৎসকের স্বজনদের কাছেও আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও চিত্র পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজী মো. মিরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন নারী চিকিৎসক। আজ সোমবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে মিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি দল।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের মার্চে ওই নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ফেসবুকে মিরাজ হোসেনের পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারী চিকিৎসকের মামলার পরপরই তদন্ত শুরু করে সিআইডি। আজ বিকেলে আসামি মিরাজকে তাঁর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি ট্যাব ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য