ঢাকায় মোবাইল টাওয়ারে উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর বিকিরণ

বাংলাদেশে ছটি মোবাইল অপারেটর সক্রিয় রয়েছে।
বাংলাদেশে ছটি মোবাইল অপারেটর সক্রিয় রয়েছে।
আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কয়েকটি স্থানে টাওয়ার থেকে উচ্চমাত্রার বিকিরণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

ঢাকায় কিছু মোবাইল টাওয়ার থেকে উচ্চমাত্রায় তেজস্ক্রিয়তার প্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ টীম ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণের মাত্রা পরীক্ষা করে এমন প্রতিবেদনই দিয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

আজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং আগামী ২৮শে মার্চ আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

মিস হক জানান আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কয়েকটি স্থানে টাওয়ার থেকে উচ্চমাত্রার বিকিরণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা সবগুলো মোবাইল অপারেটরের সিগন্যাল টাওয়ার গুলো পরীক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার মধ্যে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসিকে বলার জন্য সুপারিশ করেছেন।

এছাড়া নিয়মিত সব টাওয়ার পরীক্ষা করতে বিটিআরসির পদক্ষেপ নিচ্ছে কি-না সেটি দেখতে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে বিকিরণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

জিনাত হক জানান মূলত ২০১২ সালের ৩০শে অক্টোবর আদালত মন্ত্রণালয়কে বিশেষজ্ঞ দিয়ে টাওয়ার থেকে বিকিরণের মাত্রা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়।

সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় প্রথমে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

সেই কমিটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করে যারা টাওয়ার এলাকায় পরীক্ষা করে তাদের সুপারিশ সহ রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়।

সেই রিপোর্টই আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থাপন করা হলো বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

সর্বশেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭, ০৬:৩১
বিবিসি বাংলা

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন