সমুদ্র তীরবর্তী উপকূলীয় অঞ্চলে পানি সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। একদিকে সমুদ্রের নোনাপানির ঝাপটায় লন্ডভন্ড সবকিছু, অন্যদিকে সুপেয় পানিও মিলছে না। নদী-নালা, এমনকি ভূগর্ভস্থ পানিও লবনাক্ত হয়ে পড়েছে। কোন কোন এলাকায় গভীর নলকূপেও পানযোগ্য পানি উঠছে না। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হেঁটেও মিলছে না সুপেয় পানি। এরফলে মানুষের শারীরিক সমস্যা বাড়ছে, সংকট ডেকে আনছে অর্থনৈতিক অবস্থায়। পানি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার সুফল মিলছে সামান্যই।
উপকূলের প্রান্তিক জনপদ সরেজমিন ঘুরে পাওয়া তথ্যসূত্র বলছে, জীবনযাপনে বহুমূখী সমস্যার মধ্যে পানি সংকট ক্রমেই তীব্র হয়ে দেখা দিচ্ছে। নদী-নালার পানি লবনাক্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি অনেক স্থানে ভূ-গর্ভস্থ পানিতেও লবনাক্ততা বেড়েছে। এ পানি পান করা তো সম্ভব হচ্ছেই না, কৃষিকাজেও লাগানো যাচ্ছে না। মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপ, হাতিয়া মনপুরাসহ বিভিন্ন দ্বীপ অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট চোখে পড়ে। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস। বেড়িবাঁধ না থাকায় এই এলাকাটি জোয়ারের সময় লবনাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এই দ্বীপে প্রচন্ডভাবে আঘাত করেছিল। অনেক স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। লবনাক্ত পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পানির আঁধারগুলোও লবনাক্ত হয়ে পড়ে। লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক স্থানে কৃষি আবাদ বাদ দিয়ে লবণ চাষ হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন অন্যান্য দ্বীপেও এমন সমস্যা চোখে পড়ে।
পশ্চিম উপকূলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা আর বাগেরহাটের শরণখোলার প্রত্যন্ত গ্রামে চোখে পড়ে ‘পানির দুর্ভিক্ষ’। এই এলাকাগুলোর মধ্যে শ্যামনগরের অবস্থা সবচেয়ে সংকটাপন্ন। পানিকষ্ট নিরাবণে দীর্ঘ পথ পায়ে হাঁটা। সকাল-বিকেল-দুপুর পানির আধারগুলো ঘিরে নারী-পুরুষ ও শিশুদের জটলা। কলসি, বালতি, ড্রাম, জগ, যার যা আছে, তা নিয়েই ছুটে যান জলের কাছে। সুপেয় জলের সংকটটাই সবচেয়ে বেশি। কোথাও আবার গোসল, রান্নাবান্না আর সেচের পানির কষ্টটাও তীব্র হয়ে ওঠে। বহু চেষ্টা হয়েছে, বহু প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে; কিন্তু পানিকষ্ট ঠিক আগের মতোই, যেমনটা ছিল পাঁচ-দশ বছর আগে। এমনটাই জানালেন এলাকার বাসিন্দারা।
শ্যামনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের গ্রাম আটুলিয়া ইউনিয়নের তালবাড়িয়া আর আটুলিয়া। এখানে প্রায় ৩০০ পরিবারের বাস। কম করে হলেও লোকসংখ্যা দেড় হাজারের ওপরে। এই গ্রাম থেকে সুপেয় পানির উৎস্য কমপক্ষে তিন কিলোমিটার দুরে। এই দুই গ্রামের মানুষ পানি সংগ্রহ করেন একই ইউনিয়নের হেঞ্চি গ্রামের মনোরঞ্জন বৈরাগির বাড়ির পুকুর পাড়ে বসানো ফিল্টার থেকে। দিনের প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয় ভোর থেকে। কার আগে কে যাবে, লাইনের আগে থাকার চেষ্টা সবার। আগেভাগে খাবার পানির কলসিটা ঘরে তুলতে পারলে অন্যান্য কাজে সময় দেওয়া সম্ভব হবে।
তালবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তাপস কুমার মন্ডল বলেন, পানির দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে চাই। বেঁচে থাকার জন্য সুপেয় পানির কোন বিকল্প নাই। কিন্তু এই দুই গ্রামের কোন মানুষই প্রয়োজনীয় সুপেয় পানি পান না। ভোর হলেই পানির সন্ধানে ছুঁটতে হয়। সকাল ও বিকালে পানির ফিল্টারের কাছে সংগ্রহকারীদের লাইন দীর্ঘ হয়। পানির সংকট বারোমাসই থাকে। তবে মার্চ এপ্রিল ও মে মাসে তীব্রতাটা একটু বেশি।
খানিক এগিয়ে একই গ্রামের সুজাতা মন্ডলের বাড়ি গিয়েও একই চিত্র। দিনে যে দু’কলসি পানি প্রয়োজন হয়, তা সংগ্রহ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। জানালেন, “পানির কষ্টে আমরা তো মরি গেলাম। পানির দুর্ভিক্ষ থেকে আমাদের বাঁচাও”।
পড়ন্ত বেলায় আটুলিয়া থেকে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পথ ধরে আসার সময় বহু নারী ও শিশুর সঙ্গে দেখা মেলে। কলসি সহ পানি সংগ্রহের বিভিন্ন ধরণের পাত্র তাদের সঙ্গে। কেউবা একটু বেশি পানি সংগ্রহের জন্য ভ্যানে করে কয়েকটি ড্রাম নিয়ে যাচ্ছেন। ভিড় দেখে মনে হলো, রাস্তায় তারা যেন মিছিলের জন্য জড়ো হয়েছেন। খানিক এগিয়ে বুড়িগোয়ালিনীর দুলাল চন্দ্র মন্ডলের বাড়ি। শেষ বেলায় এই বাড়ির পুকুর থেকে সরাসরি পানি সংগ্রহ করেন অনেকেই। এদের কয়েকজন লাভলী রাণী, কুসুম রানী, সীতা রানী দাস, ফুলবাসী বানীমন্ডল, ভবানী রানী।
এই চিত্র সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার। ইউনিয়নের হাজারো মানুষ বছরের পর বছর পানিকষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আইলার পর এ এলাকায় সুপেয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। এই ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামের জরিনা খাতুন এক কলসি সুপেয় পানি সংগ্রহে দৈনিক পাঁচ-দশ কিলোমিটার পথ হাঁটেন। আসা-যাওয়ায় যাতায়াত দশ কিলোমিটার। যেতে আসতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে। এক কলসি পানিতে দিন পার হয় না বলে একই সঙ্গে পানি সংগ্রহে ছোটেন আরও দু’তিন জন।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র বলছে, ইউনিয়নের ৩নম্বর ও ৫নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকি এলাকার মানুষ পুকুরের পানির ওপর নির্ভরশীল। অনেক স্থানে পুকুর কাছে নেই। লক্ষীখালী, খলিসা বুনিয়া, দশ নম্বর সোরা, চাঁদনিমুখা, নয় নম্বর সোরা, ডুমুরিয়া, চকবারা, খোলপেটুয়া, গাবুরা ও জালিয়াখালী গ্রামে পানির সংকট সবচেয়ে বেশি। সংকটাপন্ন এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে পুকুরের পানিই ব্যবহার করে। পুকুরের পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য ইউনিয়নে ১২টি পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) রয়েছে। এগুলো সচল থাকলে পুকুরের পানি ফিল্টারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়; কিন্তু অচল হয়ে গেলে পুকুরের পানি সংরক্ষিত থাকে না। তখন সমস্যা বেড়ে যায়।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আইলার পর এই এলাকায় পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করে। দেখা দেয় নানা রোগবালাই। সেই সময়ে সংকট নিরসনে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে কিছু এলাকায় পানির সংকট লাঘবের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এখনও এলাকার বহু মানুষের প্রধান সমস্যা পানির অভাব।
পশ্চিম উপকূলের সবচেয়ে সংকটাপন্ন এলাকা শ্যামনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র বলছে, এই উপজেলায় ৭২ হাজার ২৭৯টি পরিবারে লোকসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার। মোট পরিবারের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছানো সম্ভব হয়। বাকি পরিবারগুলো পানিকষ্টে থাকে। ইউনিয়নগুলোর মধ্যে ভুর্বলিয়া, শ্যামনগর সদর, ঈশ্বরীপুর, বুড়িগোয়ালিনী ও নূরনগরের অবস্থা বেশি খারাপ।
শ্যামনগরের পানি সংকট প্রসঙ্গে জানতে আলাপ হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। এলাকার মানুষের পানিকষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে সংকট উত্তরণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সরকার ভূ-তলের জলের ওপর থেকে চাপ কমাতে উপরিভাগের পানি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে। এজন্য জেলা পরিষদের লিজকৃত পুকুরগুলো অবমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এখানকার পানিকষ্ট অনেকটা লাঘব হবে বলে মনে করেন তিনি।
এই ইউনিয়নের দশ নম্বর সোরা গ্রামের মো. ইদ্রিস মোড়লের স্ত্রী আছমা খাতুনের ঘরে ঢুকেই বোঝা যায় পানির সমস্যা তাদেরকে কতটা সংকটে রেখেছে। ঘরের ভেতরে কলসি, ড্রাম, থালাবাটি এমনকি পলিথিনে করেও পানি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদের ঘরে একফোঁটা পানির মূল্য অনেক। নারী-পুরুষ ও শিশুরা পায়ে হেঁটে পানি আনেন, আবার কখনো ড্রাম ভরে ভ্যানে করেও আনেন। এতে পানির মূল্যটা আরও বেড়ে যায়।
এই গ্রামের আছমা খাতুন জানান, পানি কিনে আনতে হয় বলে চাহিদামত ব্যবহার করতে পারি না। জলের অভাবে রান্না বন্ধ থাকে। আশাপাশের নদীর পানি নোনা। এ দিয়ে কখনো কখনো থালাবাসন ধোয়ার কাজ চলে। অনেকে সংকট কাটাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। মার্চ-এপ্রিল থেকেই বৃষ্টির পানির পাত্র খালি হতে শুরু করে।
এলাকা ঘুরে জানা যায়, ঘরে একবেলা খাবার যোগাড়ের চেয়েও এই এলাকার মানুষের সুপেয় পানি যোগাড়ে বেশি সমস্যা। চাল, ডাল, নুন, তেল সবাই যোগাড় হলো; কিন্তু ঘরে সুপেয় পানি নেই। এর মানে সবকিছুই অচল। গোসল, রান্না করা, থালাবাসন ধোয়া এমনকি গরু-ছাগল ও হাঁসমুরগির পিপাসা মেটাতে ভরসা দূর থেকে আনা এই পানি।
লক্ষীখালী, চাঁদনিমূখা, দশ নম্বর সোরা গ্রামে ঢুকতে বাসিন্দারা একই সমস্যার কথা জানান, পানির অভাব। এই সংকট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে এলাকাবাসী জানালেন। তারা বলেন, নলকূপ বসানো হলেও মিষ্টি পানি ওঠে না। ১২০ ফুট পর্যন্ত পাইপ বসিয়েও পানের যোগ্য পানি মিলছে না। পর্যাপ্ত পুকুর ও পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার) নেই। ইউনিয়নের কিছু এলাকায় পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা খুবই সীমিত।
এদিকে সূত্রগুলো বলেছে, লবনাক্ত এলাকায় পানি সংকট নিরসনে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা-ও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অকার্যকর। উপকূলের অনেক স্থানে ৮-৯ ফুট নিচে গেলেও গভীর নলকূপের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না। আবার কিছু স্থানে এরচেয়ে কম গভীরে গিয়েও পানি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উপকূল এলাকার পানি সংকট নিরসনে প্রয়োজন লবনাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বা গভীর নলকূপ। একটি গভীর নলকূপ থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০জন প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি নিয়মিত পেতে পারেন। এ ধরণের নলকূপ বসাতে খরচ হয় এক লাখ টাকা। অপরদিকে বিদ্যুত থাকলে লবনাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসাতে খরচ পড়ে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা। বিদ্যুত না থাকলে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে এই প্ল্যান্ট চালাতে হলে খরচ হয় ৪৪-৪৫ লাখ টাকা। এই ধরণের প্ল্যান্ট থেকে ১০০ থেকে ১২৫ জনের পানি সরবরাহ করা যায়। তবে এই উদ্যোগ অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় এর প্রসার তেমন ঘটছে না।
সূত্র বলছে, উপকূল এলাকার পানি সংকট নিরসনে বিভিন্ন স্থানে গভীর নলকূপ ও লবনাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন। এছাড়াও আরও কিছু প্রতিষ্ঠান পানি সংকট লাঘবে পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোগ আরও সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
মাঠ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুপদ্বীপের ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে বহু মানুষ শারীরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সংকটে পড়েছেন। এই অবস্থার উন্নয়নে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে স্থানীয় এনজিও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে নলকূপ স্থাপন করেছে। একটি নলকূপ থেকে মাত্র ৮০টি পরিবার পানি পেতে পারেন। কিন্তু এই উদ্যোগ পর্যাপ্ত নয়। ঠিক একইভাবে পশ্চিমাঞ্চলে সাতক্ষীরা অঞ্চলের দিকে তাকালে চোখে পড়ে পানি সংকট নিরসনের নানান ধরণের উদ্যোগ থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ উঁচু হচ্ছে। তাই জোয়ারের সময় বাঁধের উপর দিয়েও পানি ঢুকছে। আর যেখানে যেখানে বাঁধ ভেঙে গেছে সেখান দিয়ে তো পানি ঢুকছেই এবং বাড়িঘর ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি করছে। লবণাক্ত পানির এই দৈনিক আক্রমণের ফলে কৃষিজমি আর কৃষিজমি থাকছে না। উপকূলের অনেক স্থানে সুপেয় পানির সংকট তীব্র। এই সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় গভীর নলকূপ এবং লবণাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসানোর ব্যবস্থা করতে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনকে আরো উদ্যোগী হতে হবে।
পাঠকের মন্তব্য