সকাল থেকেই বৃষ্টি। কখনো ঝেঁপে, কখনোবা গুঁড়ি গুঁড়ি। এ যেন আষাঢ়ে ঢল। অথচ মাসটা চৈত্র। এমন দিনে খাঁ খাঁ রোদ্দুর গা পোড়ায়, উদাসী চৈতি হাওয়া বয়ে বেড়ায় আমবনের মাতাল করা ঘ্রাণ। লু হাওয়ার ধুলো ওড়ানো ঘূর্ণিতে বাজে শুকনো পাতার নূপুর। ঋতুরাজের সে আয়োজন কোথায়? হিমেল আবহাওয়ার কারণে অনেকের লেপ-কাঁথাই গোটানো হয়নি।
আজ সোমবার সকাল সাতটার পরপরই বৃষ্টি নামে রাজধানীতে। প্রথমে ঝিরিঝিরি, পরে ঝমঝম। সঙ্গে ছিল বাতাস। ফলে সকালে স্কুলগামী শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের পড়তে হয় বিপত্তিতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ছয়টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকায়।
তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার আদিবুল ইসলাম সকাল সোয়া নয়টার দিকে বলেন, সকালে বৃষ্টির কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ যানজট কম ছিল। বৃষ্টি কমার পর যানবাহনের চাপ কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সেটি সহনীয় মাত্রায় এখনো রয়েছে।
ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরু থেকেই কেবল বৃষ্টি। সচরাচর এ সময় এমন বৃষ্টি দেখা যায় না। গত শনিবারও বিকেলের দিকে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় আকাশ ছিল মেঘলা। এসব এলাকায় ঠান্ডাও পড়েছে বেশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মার্চ মাসে বৃষ্টির দাপট সহজে কমছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে সারা দেশে কালবৈশাখী হচ্ছে। এর সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিনের এই বৃষ্টি কাল মঙ্গলবার হয়তো কিছুটা কমতে পারে। তবে এ মাসের শেষের দিকে আবারও বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও কম থাকবে। কারণ, এ ধরনের বৃষ্টি ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশেও এখন হচ্ছে। সেখান থেকে বায়ুপ্রবাহের কারণে এখন বেশ ঠান্ডা পড়েছে।
পাঠকের মন্তব্য