দেশে সরিষার চাষ হয়েছে দ্বিগুণ, এতে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। এ অবস্থায়, দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রথম বছরেই এবার সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যেই আমরা বছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব।’

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গায় সরিষার মাঠ পরিদর্শন ও সরিষা চাষীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, শুধু সরিষার আবাদ বৃদ্ধিই নয়, এর সঙ্গে বেড়েছে মৌচাষ ও মধুর উৎপাদন। অন্যদিকে, আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন কমছে না, একই সঙ্গে কৃষকেরা অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এই সরিষা পেয়ে লাভবান হচ্ছেন।

সরিষা চাষীরা যাতে সরিষার ভালো দাম পান, এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকালে কৃষিমন্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা এএমআর ডিগ্রী কলেজ মাঠে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।