সমাজে হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষদের আলাদা চোখে দেখা হয় বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে অনেকে হিজড়াদের ঘৃণা করে। ছোটবেলা থেকে আমরা শুনে আসছি, পড়ে আসছি, হিজড়ারা চাঁদা তুলছে, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে। অনেক হিজড়া মানুষের উপকার করে। সেগুলো গণমাধ্যম, সিনেমা ও আমাদের সাহিত্যে সেভাবে আসেনি।’
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) সেমিনার রুমে ‘লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় মানুষের আত্ম পরিচয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী আরও বলেন, ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে হিজড়াদের ছোট করে দেখে আসছি। ছোটবেলা থেকে আমরা যদি জানতাম হিজড়ারা ডাক্তার হচ্ছে, শিক্ষক হচ্ছে, তাহলে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হতো। দেশে এমডিজি অর্জন হয়েছে। এখন এসডিজি অর্জনের কথা বলা হচ্ছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর একজনকে বাদ দিলেও এসডিজি অর্জন হবে না।’
ইউএন এইডস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ডা. সায়মা খান বলেন, ‘কমিউনিটি থেকে শুরু করে পলিসি লেভেল পর্যন্ত হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষেরা বৈষম্যের শিকার হন। এই জনগোষ্ঠীর বড় অংশ সচেতনতার অভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইনি সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন।’
সম্পর্কের নয়া সেতু’র সভাপতি জয়া সিকদার বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার, ট্রান্সম্যান, ট্রান্সওমেন ও হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা সমাজে নানাভাবে উপেক্ষিত হয়। বঞ্চিত হয় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকেও। গত ২৫ বছর ধরে দেখে আসছি, পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি।’ হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সম্পর্কের নয়া সেতু’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অমিও সৃজান সাম্য, ডা. ফারহানা আহমেদ, এডভোকেট কামরুন নাহার প্রমুখ।
পাঠকের মন্তব্য