ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। ফলে এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা সমাজে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন। এই জন্য ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ, এটা আমাদের বড় পরিচয়। তবে আমাদের সমাজ এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত না। ট্রান্সজেন্ডার বা লিঙ্গ বৈচিত্র্যের বিষয়ে সমাজ থেকে নেতিবাচক ধারণা দূর করতে ছোটবেলায় শিশুদের জানাতে হবে। এর জন্য ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক তথ্য পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) সেমিনার রুমে ‘ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য জনগোষ্ঠীর বিকাশে সংলাপ’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরমা দত্ত এসব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’।
আরমা দত্ত আরও বলেন, ‘হিজড়া মানুষকে শহরের অনেকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না। এদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবো।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) ড. মো. মোকতার হোসেন বলেন, ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। হিজড়াদের প্রতি সামাজিক বৈষম্য কমাতে পরিবার থেকে প্রথম ভূমিকা রাখতে হবে। হিজড়া শিশু জন্ম নিলে পরিবার থেকে আলাদা করা যাবে না।’
সম্পর্কের নয়া সেতু’র সভাপতি জয়া সিকদার বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার, ট্রান্সম্যান, ট্রান্সওমেন ও হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা সমাজে নানাভাবে উপেক্ষিত হয়। বঞ্চিত হয় বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকেও।’ হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (বেদে, অনগ্রসর, হিজড়া জনগোষ্ঠী, ভিক্ষুক ও চা শ্রমিক) মো. শাহ জাহান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
পাঠকের মন্তব্য