পরিবেশ দূষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে

পরিবেশ দূষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
পরিবেশ দূষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

পরিবেশ দূষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী। তিনি বলেন, নদী বাঁচলে আমরা বাঁচবো। নদীগুলোর বেশিরভাগ দূষণ সম্পন্ন হয় শিল্পকারখানার মাধ্যমে। তাই শিল্পকারখানাগুলোকে ইটিপি মেনে কাজ করতে হবে নয়তো তাদেরকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, পরিবেশ দূষণকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম এর দূষণবিরোধী অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী এসব কথা বলেন।

সচেতনতার অভাবে ঢাকায় দখল দূষণ বাড়ছে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুর রহমান বলেন, পরিবেশ দূষণ কমাতে আমাদের সচেতন হতে হবে। অভিজাত এলাকা বারিধারা অনেক বাড়ি মালিক তাদের সেফটি ট্যাংক লেকের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন। গুলশানে আমরা ২১টি বাড়ি চিহ্নিত করেছি যাদের সেফটি ট্যাংক লেকের পানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া কল্যাণপুরে জলাধারের জায়গা ১৭৩ একর ছিল। তার মধ্যে ১৭০ একর দখল হয়ে গেছে। এসব কারণে ঢাকার পরিবেশ দূষণ ও জলাবদ্ধতা বাড়ছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, সংবিধানে পরিবেশ, প্রতিবেশ ঠিক রাখার কথা বলা হয়েছে। আমরা সব সময় অধিকার নিয়ে চিন্তিত, কিন্তু কর্তব্য নিয়ে ভাবি না। আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন না হলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ কঠিন হয়ে পড়বে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি মানবাধিকার কর্মী এবং বিপিআইএর কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ঢাকার দূষণবিরোধী অ্যাডভোকেসি এই প্রকল্প বিভিন্ন অংশীজনের সাথে এভিডেন্সভিত্তিক অ্যাডভোকেসি করবে। পানি, বায়ু এবং শব্দদূষণের বিরুদ্ধে এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে সর্বপরি বাংলাদেশের পরিবেশদূষণ কমিয়ে আনার জন্য কাজ করবে।

ভার্চ্যুয়াল এই অনুষ্ঠানে কনসোর্টিয়াম প্রধান এবং ব্লুপ্যানেট ইনিশিয়েটিভ এর নির্বাহী পরিচালক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন জো অ্যান ওয়্যাগনার, স্টামফোর্ডের ভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকি, ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের উন্নয়ন পরিচালক জুডিথ হারবার্টসন, ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক মার্ক ইয়াগগি, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি মইনুদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মোবারক হোসেন সাজিদ এবং স্টামফোর্ডের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

সর্বশেষ আপডেট: ৬ মে ২০২১, ২০:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন