লঘুচাপের প্রভাবে গত সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির অজুহাতে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মুরগির দাম কমলেও চাল, পেঁয়াজ, ডিমসহ শাকসবজির দাম বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়, মাঝারি চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা আর সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মান ও বাজারভেদে পেঁয়াজের দামে তারতম্য রয়েছে। কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদনি করা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি চায়না আদা ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পাম ও সয়াবিন তেল, চাল, প্যাকেট ময়দা, রসুন, মসুর ডাল ও শুকনা মরিচের দাম খুচরা বাজারে বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম স্থিতিশীল থাকলেও শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। অন্যদিকে ২২০ টাকার নিচে মিলছে না শুকনা মরিচ। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় দেশি শুকনা মরিচের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে খোলা ও বোতলজাত সব ধরনের সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মানভেদে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।
এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার পাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও পাম সুপার ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্যাকেটজাত ময়দার দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মাঝারি দানা মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
৫০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো সবজি। প্রতি কেজি কাঁকরোল ৬০-৬৫ টাকায়, কচুরমুখী ৫৫-৬০, টমেটো ১১০- ১২০, করলা ৬৫-৮০, পটোল ৫০-৫৫, বরবটি ৭৫-৮০ টাকায়, ধুন্দুল ৫৫-৬০, ঝিঙ্গা ৫৫-৬০, বেগুন ৭৫-৮০, ফুলকপি ছোট ৩৫-৪০, বাঁধাকপি ৪০-৪৫, কচুরলতি ৪০-৪৫, গাজর ৭৫-৮০ ও আলু ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস চালকুমড়া ৪০-৫০ টাকায়, লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
২ টাকা বেড়ে প্রতি হালি লাল মুরগির ডিম ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ৫০-৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১১৫-১২০ টাকায়, লেয়ার ২২০-২৩০ টাকায়, পাকিস্তানি মুরগি ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস ৫৫০-৫৮০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য