অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হয়েছে আলমগীর শাহরিয়ারের প্রথম কবিতার বই ‘নিদাঘ দিনের গান’। বইটি প্রকাশ করেছে চৈতন্য। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। ৬৪ পৃষ্ঠার এই বইয়ে ৫৫টি কবিতা রয়েছে। প্রতিটি কবিতায় প্রেম ভালোবাসা সহ জীবনের নানা অনুষঙ্গ ফুটে উঠেছে।
কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে কবি আলমগীর শাহরিয়ার বলেন, ‘কবিতার বইটিতে উপজীব্য বিষয় সেই দেশভাগ থেকে শুরু করে, দেশভাগের পর উদ্বাস্তু মানুষের বেদনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আছে শাহবাগ কেন্দ্রীক তরুণ প্রজন্মের জাগরণ, এই নগর জীবনে সেই ফেলে আসা গ্রাম, একজন কিশোরের মনে সেই শৈশব কৈশোর, হাওড়ে কৃষকের কান্না, নাগরিক জীবনের যন্ত্রনা, মানুষের মধ্যে প্রেম- সংঘাত। এসব বিচিত্র বিষয় কবিতার মধ্যে ফুটে উঠেছে।’
লেখক আলমগীর শাহরিয়ারের জন্ম সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায়। স্থানীয় স্কুলে মাধ্যমিক শেষ করে সিলেট সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একজন বিতার্কিক ও সংগঠক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় দৈনিক মানবজমিনে সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু। পরবর্তী সময়ে গবেষণা-সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায়। বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ঢাকায় কর্মরত।
লেখক আলমগীর শাহরিয়ার বিশ্বাস করেন মলাটবন্দি বই নিয়ে লেখকের আত্মপ্রকাশের দীর্ঘ প্রস্তুতি থাকা দরকার। তাই এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত লেখালেখি করলেও এবার একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হলো তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নিদাঘ দিনের গান।’ অধীত বিষয় সমাজবিজ্ঞান ও বিশ্বসাহিত্যের বাইরে বাঙলার রেনেসাঁ, দেশভাগ ও উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস লেখকের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। তা ছাড়া, কবিতাযাপনের বাইরেও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সমসাময়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে নিয়মিত কলাম লিখেন।
ছাত্রাবস্থায় সম্পাদনা করেছেন সাহিত্য পত্রিকা প্রজাপতি, মেঘদূত ও জল-জোছনা। সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য নানা সম্মাননা পেয়েছেন। এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ সিলেট অঞ্চলে কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
লেখালেখি প্রসঙ্গে আলমগীর শাহরিয়ার বলেন, ‘আমি এক দশক ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি সব সময় বই প্রকাশে আগ্রহী নয়, অনেকে বই প্রকাশ করে নিজেকে লেখক হিসেবে আত্ম প্রকাশে অনেক বেশি প্রয়াসী। আমি সব সময় বিশ্বাস করি একজন লেখকের আগে নিজেকে প্রস্তুত করা দরকার। প্রকাশের চেয়ে নিজের বিকাশে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি নিজেকে চেষ্ঠা করেছি সব সময় প্রস্তুত করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমি চিরকাল একজন লেখক হতে চেয়েছি। আমি সাহিত্যের সব শাখায় লেখালেখি করতে চাই।’
পাঠকের মন্তব্য