জন্নাতুন নাঈম প্রমি: আমার কাছে মনে হয় একুশে বইমেলা মানে প্রাণের মেলা,বইমেলা একটা ভালোবাসার নাম।ফ্রেবুয়ারি মাস আসলে নতুন বইয়ের মোহনীয় গন্ধে বইপ্রেমীদের মন মাতাল হয়ে ওঠে। নানান রকম নতুন নতুন প্রচ্ছদ নিয়ে পান্ডুলিপি গুলো বইয়ের রুপ নেয়।পূর্নতা পায় রঙ বেরঙ্গের মলাটে।
সকল রকম মানুষ সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে উদ্যান ও একাডেমীর আঙ্গিনায় সমবেত হয়।এ যেন এক মহা উৎসবে পরিণত হয়।শিশু কিশোররা আসে নতুন প্রাণ নিয়ে,একত্রিত হয় শিশুকাননে। তাদের উল্লাস রুপ নেয় স্বর্গীয় আনন্দে। প্রিয় কবি ও লেখকদের কাছে পেয়ে হয় আনন্দে আত্মহারা।যুবক-যুবতীরা কালো রঙের শাড়ি আর পান্জাবী পড়ে যোগ দেয় এই মহাউৎসবে।প্রেমিক-প্রেমিকারা জুটি বেধে আসে বই মেলায়।
এই মেলা বহন করে জাতির ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এই মেলা শুধু একটি মেলা নয়,এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অংশ।এই মেলা বাঙালিদের গর্ব ও অহংকারের মেলা।মেলার স্টল গুলোতে রঙ বেরঙের টি-শার্ট পরিধান করে যারা বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কাজ করছে লেখক ও পাঠকদের জন্য আসলেই তাদের কাছে আমরা ঋণী। সর্বশেষ বলবো যে বই মানুষের পরম বন্ধু। নতুন প্রজন্ম কে বইয়ের প্রতি বেশি বেশি মায়া ও ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। সব বয়সের মানুষই যদি এটাতে বিশ্বাসী হতো যে বই কে ভালোবাসুন,অন্তত মানুষ কে ভালোবেসে প্রতারিত হলেও বইকে ভালোবেসে কখনোই ঠকবেন না।জ্ঞান ও মনুষ্যত্বের বিকাশের ধারক ও বাহক হলো বই,বই এবং বই।যে জাতি যত বেশী বই পড়বে সে জাতি তত বেশী উন্নত।
পাঠকের মন্তব্য