“মাদকের বিরুদ্ধে তারুণ্য “ এই দীপ্ত শপথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর,ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও দ্যা পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে “মাদকবিরোধী আলোচনা, কুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান “ শীর্ষক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয় পিপলস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অডিটোরিয়াম এ ।
উক্ত মাদকবিরোধী প্রোগ্রাম এ প্রধন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির মাননীয় ভিসি,প্রফেসর ডক্টর এ.কে.এম সালাউদ্দিন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চল এর সম্মানিত উপ-পরিচালক, মুকুল জ্যোতি চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার, আবু বকর সিদ্দিকী, প্রক্টর, মো: হাবিবুর রহমান, ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা, রাখিল খন্দকার।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ডক্টর এ.কে.এম সালাউদ্দিন বলেন দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই জন্য সরকারের আরো বেশি কঠোর হওয়া দরকার। মাদকবিরোধী অভিযান এর পাশাপাশি মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে আরো বেশি। তরুণ প্রজন্মকে সচেতনতার পাশাপাশি পড়াশোনা ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
প্রধান আলোচক জনাব মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন তরুণরা আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত তরুণদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে। সেই তরুণরা যদি মাদকের ভয়াল থাবায় পড়ে গ্রাস হয়ে যায় তাহলে দেশের অগ্রযাত্রা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই জন্য তরুণদের সচেতনতার শিক্ষা সর্ব প্রথম দিতে হবে। সচেতনতাই পারে তরুণ সমাজকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে দূরে রাখতে।
ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা রাখিল খন্দকার বলেন, তরুণরাই পারে দেশকে বদলে দিতে। যেভাবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভুথ্যান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তরুণরা ঝাপিয়ে পড়ে দেশকে মুক্ত করেছিল তেমনি তারুণ্যের গণজোয়ারই পারে দেশকে মাদকমুক্ত করতে। তারুণ্য মানে দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে যাওয়া। তারুণ্যের হাত ধরেই দেশ মাদকমুক্ত হবে।
এছাড়াও অন্যান্য অতিথিরা উনাদের বক্তব্যে মাদকের ভয়াবহতা ও উনাদের ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। উক্ত অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী শপথ পাঠ করানো হয়। কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেরা ১০ জন কে পুরষ্কার হিসেবে বংগবন্ধুর অসমাপ্ত আত্তজীবনী বইটি পুরষ্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মাদকবিরোধী ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।তাছাড়া মাদকবিরোধী মনোমুগ্ধকর পরিবেষণা করা হয় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। এ সময় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দীপ্ত প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পাঠকের মন্তব্য