`আমি বাঙালি হিসেবে জন্মেছি, আমার জন্মস্থান বাংলাদেশ। কিন্তু আমি জন্মেছি সারা বিশ্বের জন্যে। আমাকে কাজ করতে হবে এমন যেন এই কাজ করা হবে আমার সারা বিশ্বের জন্যে কাজ করা’ - কথাগুলি বলছিলেন পিঅাইবি (প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ) এর মহাপরিচালক জনাব মো. শাহ আলমগীর। গত ৩রা নভেম্বর,২০১৮ তে পিঅাইবি এর সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাংবাদিকতায়য় নীতি নৈতিকতা কর্মশালায় তিনি এই কথা বলেন। এই কর্মশালার সমন্বয়কারী ছিলেন পিআইবি এর সিনিয়র প্রশিক্ষক রাফিজা রহমান। শিক্ষানবিশ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন “ড্রিম ডিভাইজার” টিমমেটরা যাদেরকে তারা বলে সোলমেট।
প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবহিতকরণ এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ইতিবাচক দিক ও অপ সাংবাদিকতারর নেতিবাচকতা সম্পর্কে অবহিতকরণ। কর্মশালায় প্রশিক্ষক রাফিজা রহমান শিক্ষানবিসদের নতুন ডিজিটাল আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। সম্পূর্ণ আইনটি উপস্থিত সকলের সাহায্যে পাঠ করা হয়। এটি একটি বড় অর্জন বলে মনে করেন ড্রিম ডিভাইজারের সদস্যরা। এরপর মধ্যাহ্নে পিআইবি এর মহাপরিচালক জনাব মো. শাহ আলমগীর প্রশিক্ষণের দুটি সেশন নেন। তিনি এখানে দেশের এবং দেশের মানুষের প্রতি সকলের যে দায়বদ্ধতা আছে সেটা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও তিনি সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা সম্পর্কেও উপস্থিত সকলকে সচেতন হতে বলেন। কর্মশালা সম্পর্কে ড্রিম ডিভাইজারের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম রাব্বী বলেন `আমরা ড্রিম ডিভাইজার পজিটিভ কনটেন্ট ডেভেলপ করি। কনটেন্টগুলো স্ক্রিপ্ট বেইজড এবং ভিডিও বেইজড হয়ে থাকে। এসব ইতিবাচক কনটেন্ট আমরা ডিজিটাল মাধ্যম যেমন ওয়েব সাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করিয়ে সবার কাছে ছড়িয়ে দেই। যেহেতু আমরা ডিজিটাল মাধ্যমের সর্বত্র জড়িয়ে আছি, সেজন্য পিআইবির ডিজিটাল ও ইথিক্যাল সাংবাদিকতা নিয়ে আয়োজন সত্যিই বেশ কাজে দিবে। কেননা ড্রিম ডিভাইজার সব সময় সুন্দরের পক্ষে, দেশের পক্ষে, বিশ্বের পক্ষে।” “ডিজিটাল নিরাপত্তা নীতিমালা নিয়ে পিআইবি এর আয়োজনটি ছিলো নতুনত্ব এবং শিক্ষণীয়। ড্রিম ডিভাইজার যেহেতু ডিজিটাল ভাবে কাজ করছে সেহেতু পুরো টিমের এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহণ করে শিশুদের এবং ডিজিটাল মাধ্যম গুলোতে কিভাবে কি করা যায় তা জানতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ পিআইবি এর মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমগীর স্যারের কাছে’। ট্রেনিং শেষে এই মন্তব্য করেন ড্রিম ডিভাইজারের হেড অফ কমিউনিকেশন শামীম আশরাফ।
ড্রিম ডিভাইজারের হেড অফ ডট কম হামিমুর রহমান ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ” এখন তো সামাজিক মাধ্যমের যুগ। খুব সহজেই আমরা এতে ঢুঁকে পড়ি। কিন্তু সামাজিক মাধ্যম বা ইন্টারনেটে মনিটরিং সিস্টেম নাই। যার ফলে, একই কন্টেন্ট, তথ্য সবশ্রেণির কাছে যাচ্ছে। কিন্তু সকল কন্টেন্ট তো সবার জন্য না। তাই আমাদের প্রতিটা কন্টেন্ট, স্টাটাস, পোস্ট যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয় সেটি খেয়াল রাখা উচিত। যার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮। এবং যেটি নিয়ে আমরা আইনের ধারাগুলো ব্যাখ্যা নির্ভর কর্মশালা করলাম। যেটি অন্তত পরের থেকে আমার বা আমাদের কন্টেন্ট, স্টাটাস থেকে সকলকিছুতে একটু হলেও ভাবতে সাহায্য করবে। সেল্ফ সেন্সর তৈরি করবে।”
স্বপ্ন, সুশিক্ষা, সুযোগ এই স্লোগান সামনে নিয়ে ড্রিম ডিভাইজার যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ২৭০ জন। বিভিন্ন ধরণের ভিন্নধর্মী কাজের মাধ্যমে টিমকে সক্রিয় রাখা হয়, যার ফলে তারা কাজের ক্ষেত্রে আরো বেশি আগ্রহী হন। অফলাইন অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই এনারা কাজ করে থাকেন। স্বপ্নের সন্দেশ, স্বপ্ন আড্ডা, ক্যাম্পাস আড্ডা, জেলা আড্ডা এগুলোর মধ্যে অন্যতম। একটি বড় স্বপ্ন অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ড্রিম ডিভাইজার এখন কাজ করে যাচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য