রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) রিপোর্টার্স ইউনিটির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বুধবার রাকসু ভবনের নিজ কার্যালয়ে কেক কেটে এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, “সাংবাদিকতা সংগঠন হলো সাংবাদিক তৈরির কারখানা। এখানে যোগ্য, সৎ ও মেধাবীরাই আসে। আর তাদের চিত্তও বিশ্বের মতো উদার হয়। তারা যদিও এখন শিক্ষানবিশ, তারা একসময় চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে সাংবাদিকতা করবে। তখন তারা তাদের সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চা করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিবে। আর তারা এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করবে না, যেটা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অহেতুক হয়রানি করে। আমি চাই তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুক, ভালো জায়গায় পৌঁছাক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনুক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, “পুলিশ যদি ইচ্ছে করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করবে, তারা পারবে। তেমনি সাংবাদিকরাও তাদের সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।”
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও বাইরের সাংবাদিকতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সে অর্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সাংবাদিকতা এখন বড়ো ধরনের এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণমাধ্যমের জন্য যে নতুন আইন করা হয়েছে, আমরা জানি, এগুলো স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য বাধা। অবশ্য এসবের মধ্য দিয়েই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে।”
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শিহাবুল ইসলাম বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল একটি সংগঠন। উদ্যমী কিছু তরুণের হাত ধরে আজকের এই দিনে ২০০১ সালে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই এই চেতনাকে ধারণ করে সংগঠনটি এগিয়ে চলছে। সামনেও এগিয়ে যাবে।”
রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আলী ইউনুস হৃদয়ের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আঞ্জুমান বানু, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাকালীন কোষাধ্যক্ষ ও যমুনা টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান শিবলী নোমান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু প্রমুখ।
আলোচনা সভার পর প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আঞ্জুমান বানুর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এতে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক-বর্তমান সদস্য ও বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পাঠকের মন্তব্য