ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল করে পুনরায় পাশকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার সিনেট ভবনে ডিন মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরীক্ষার তারিখ দ্রুত জানিয়ে দেয়া হবে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন।
প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, আওয়ামীপন্থী প্রগতিশীল সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সহ সর্বস্তরের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তবে পুনরায় পরীক্ষায় যেন আবার প্রশ্ন ফাঁস না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউনুস সিকদার বলেন,” অভিযোগ ওঠার পরেই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ উপাচার্য ও প্রক্টর স্যারের সাথে দেখা করেছি। আমরা বলেছি এ ফল বাতিল করে নতুন পরীক্ষা নিন, যারা এভাবে ভর্তি হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের ভর্তি বাতিল করুন, এ অপকর্মের সাথে জড়িতদের তদন্ত করে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনুন। এটি শুধু আমাদের সংগঠন ই না -সবার ই দাবী ছিলো। প্রশাসন এই দাবীগুলো আমলে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছে সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। নতুন পরীক্ষা নেয়া হলে মেধায় চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ বাদ পড়বে যা দুঃখজনক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানের মত বৃহত্তর স্বার্থে এটিই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। সাংবাদিক সমিতির অগ্রণী ভূমিকা আর আখতারের সাহসী পদক্ষেপ স্বরনীয় থাকবে।”
উল্লেখ্য, ১২ই অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার ৪৩ মিনিট আগেই সাংবাদিকদের হাতে আসা প্রশ্ন প্রশাসকে দেখানো হয়েছে।
উপ উপাচার্য আবদুস সামাদ কে প্রধান করে কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য