আকরাম হোসেন খান নাঈম:
দেশের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল এক নক্ষত্র ছিলেন গোলাম সারওয়ার। মুক্তচিন্তা, প্রগতিশীল মূল্যবোধ আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার এ মানুষটির হাতে গড়া ন্যুনতম পাঁচ’শ সাংবাদিক বর্তমানে দেশের প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। আর এ কারণে তাকে অনেকেই সাংবাদিকতার শিক্ষক মানেন। গোলাম সারওয়ারের সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করে দেশের শীর্ষ দুই সংবাদপত্র দৈনিক ‘যুগান্তর’ ও ‘সমকাল’।
৭৫ বছর বয়সী এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বর্ষিয়ান সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যমে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আজ বিকালে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে গোলাম সারওয়ার স্বরন কতৃক নাগরিক শোকসভার আয়োজন করেন।
নাগরিক শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন,
শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোঃ নাসিম।
আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ‘সমকালের’ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি, কবি হেলাল হাফিজ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন টিভি, চ্যানেল ও পত্র পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী।
শিক্ষাবিদও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন : অনেক কাল আগে আমি তাকে পেয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররূপে। সেই থেকে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তার প্রবেশ এবং উন্নতি লাভের ধারাটি আমি আগ্রহে ও সানন্দে দেখে আসছিলাম। নিজ মেধা ও শ্রমের বদলে সে দেশের একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের সম্পাদক পদে সগৌরবে অধিষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক মহলে সে সমাদৃত শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে। এই অর্জন সামান্য নয়।
দেশের সংবাদপত্রের বিকাশ ও উত্তরণের ইতিহাসে একজন পথিকৃৎ মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। সংবাদপত্র জগতে নামটি গুরুত্বের সঙ্গে বারবার উচ্চারিত হবে। গণমাধ্যমকর্মীরা অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে যাবে।
পাঠকের মন্তব্য