‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন: অর্জন ও সম্ভাবনা’-শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এ সেমিনার।
নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এ সেমিনার।

“বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন: অর্জন ও সম্ভাবনা”-শীর্ষক সেমিনার ০৩ অক্টোবর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১১টায় নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ-এর নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ-এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফাদার প্যাট্রিক ড্যানিয়েল গ্যাফনি, সিএসসি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জনাব ফজলে কবির। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে একাডেমিক সেশন-এর সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোঃ আইনুল ইসলাম। উক্ত সেশনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ জহুরুল ইসলাম সিকদার এবং ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিক্স-এর অধ্যাপক ও উদ্যোক্তা বিষয়ের মাস্টার্স বিভাগের সমন্বয়কারী ড. মোঃ মাহবুব আলী।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ফাদার জেমস ক্রুজ, সিএসসি তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন যে ‘বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে যা খুব দ্রুত বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবে।’ নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান দিনের মূল উপস্থাপনায় বলেন, ‘গত দশকের জিডিপি হার অনেক কম ছিল যা ২০০৯ থেকে ২০১৮ অর্থ বছরে ৭.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি মধ্যম আয়ের দেশের জন্য আনন্দদায়ক।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘নটর ডেম শব্দের অর্থ হচ্ছে ঙঁৎ খধফু বা মাতা মেরী। মাতা মেরী হচ্ছেন যীশু খ্রিস্টের মা। নটর ডেম প্রথম শুরু হয় লক্ষ্মীবাজারের সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে। পরবর্তীতে এটি মতিঝিলে স্থানান্তরিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের খুব নিকটে এটি অবস্থিত। বাংলাদেশ ব্যাংক ও নটর ডেম প্রতিবেশী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে উন্নতি করছে। নটর ডেম উন্নয়নের যাত্রায় আমাদের সহযোগী। নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করাই আমি তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, কার্যকর চাহিদা ও ও বহুমুখী পণ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছি। “আমি গত ১০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে দেশে এক চতুর্থাংশ লোক দরিদ্র রয়েছে। আমি আশা করি পরবর্তী প্রজন্ম বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে যুবদের অবদান অব্যহত থাকবে।

আমাদের লক্ষ ছিল দারিদ্রের হার কমিয়ে নিয়ে আসা বর্তমান সরকার উন্নয়নের সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। এ দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। বর্তমানে আমরা ৫ লাখ মানুষকে দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করছি। তবে গত বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ দেশের বাইরে গেছে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. ফাদার প্যাট্রিক ড্যানিয়েল গ্যাফনি, সিএসসি বলেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে অর্থমন্ত্রীর সাফল্য বিস্ময়কর। একটি জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেভাবে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূর এবং বৈষম্য কমানোকে সংযুক্ত করেছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশ। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে নবীনদের মাঝে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেতনা জাগ্রত করা।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক মুখপত্র ‘ডে স্টার’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রেজিস্ট্রার ফাদার আদম এস, পেরেরা, সিএসসি এর ধন্যবাদ বক্তব্যের পর অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সর্বশেষ আপডেট: ৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩৯
নিউটন মণ্ডল
প্রতিনিধি, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন