অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি মিললো যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে আইনী প্রকৃয়া শেষে কারাগার থেকে বের হন। চাঁদাবাজির মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর জামিন হলেও অন্য আরেকটি মামলায় পুলিশ আদালতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে তার মুক্তি প্রক্রিয়া আটকে ছিলো।
মোজাম্মেল হকের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বাংলা’কে বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে আটটার দিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মোজাম্মেল হক চৌধুরী।’
তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার ১১ই সেপ্টেম্বর যাত্রী কল্যাণ সমিতি’র মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর জামিন হয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে। কিন্তু কাফরুল থানার এক পুরাতন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে স্বশরীরে ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে উপস্থাপন করার আদেশ থাকায় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেদিন মুক্তি দেয়া হয়নি। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নাকচ করে দেন।’
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘১৩ই সেপ্টেম্বর সকালে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থিত করে পুলিশের পক্ষে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের উপর শুনানী হয়। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলা কবে দায়ের করা হয় তা জিজ্ঞেস করলে তিনি তা বলতে পারেননি। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলা সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কোনো সাক্ষীর ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান তা-ও নেই। তাহলে কিসের ভিত্তিতে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন দিলেন? পরে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেলের কাছে জানতে চান তার কোনো বক্তব্য আছে কিনা, এর উত্তরে মোজাম্মেল জানান তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে অথচ তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। এই বক্তব্য শোনার পর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নাকচ করে দেন।’
৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের বাসা থেকে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চাঁদাবাজির এ মামলা করেন মিরপুর রোড শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল।
পাঠকের মন্তব্য