সাফের আগের ১১ আসরে একবারও শিরোপা জেতা হয়নি নেপালের। তবে এবার তারা বদ্ধপরিকর। চোখ ফাইনালে, স্বপ্ন শিরোপা জয়ে। তাদের এবারের দলটিও বেশ ভারসম্যপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হারলেও পরের দুটি ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে এসেছে।
অন্যদিকে ভাগ্য পরীক্ষা দিয়ে সেমিফাইনালে এসেছে ২০০৮ এ শিরোপা জেতা মালদ্বীপ। সাফের দ্বাদশ আসরে দুই ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি তারা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র করেছে। আর পরের ম্যাচে ভারতের কাছে হার মেনেছে ২-০ ব্যবধানে। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের পয়েন্ট সমান ১ হলেও ভাগ্য পরীক্ষায় উতরে যায় মালদ্বীপ।
তরুণ এই দলটি নিয়ে গ্রুপপর্বে সুবিধা করতে না পারলেও সেমিফাইনালে দেখিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মালদ্বীপের জার্মানির কোচ সেগ্রেট পিটার। সেমিফাইনাল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে আমরা সুবিধা করতে পারিনি। সেটা নিয়ে নেপালের সাংবাদিকরা অনেক সমালোচনা করেছেন। নানান রকম গল্প লিখেছেন পত্রিকায়। আমি এখনো মালদ্বীপের কোচ। মালদ্বীপের ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের এখনো আমার প্রতি আস্থা আছে। সেমিফাইনালে ৯০ মিনিট কিংবা ১২০ মিনিট কিংবা টাইব্রেকার। সবকিছুর জন্যই আমরা প্রস্তুত আছি। প্রতিপক্ষ নেপাল হোক আর যাই হোক, আমরা ফাইনালে যাবই। যদিও নেপাল ফেভারিট বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এসেছে। তারা বেশ শক্তিশালী। তবে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।’
পাঠকের মন্তব্য