শুরুর ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে নিজের ২২তম ফিফটিটি পেয়েছেন তামিম ইকবাল। সবচেয়ে বড় কথা, সাব্বির রহমানের সঙ্গে ৯৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শততম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশকে। তবে জয়ের জন্য এখনো বাংলাদেশের দরকার ৭৬ রান। কমপক্ষে আরও ৪২ ওভার খেলার সুযোগ পাবে মুশফিকের দল।
অথচ ১৯১ তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। রঙ্গনা হেরাথকে কেন ওভাবে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গেলেন সৌম্য সরকারই ভালো বলতে পারবেন। বাঁহাতি ওপেনারের আত্মাহুতির পর ফিরে যান ইমরুল কায়েসও। ‘বার্থ ডে বয়’ হেরাথের পরের বলেই স্লিপে গুনারত্নেকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন ইমরুল। ২২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েও যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকেই হাল ধরেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান। ২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ।
টেস্টে বাংলাদেশ রান তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুবার। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে গ্রেনাডায় ২১৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল ৪ উইকেটে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্যটা অবশ্য তাড়া করতে নেমে ঘাম ছুটে গিয়েছিল বাংলাদেশের, জিতেছিল ৩ উইকেটে।
শ্রীলঙ্কার ২৩৮ রানে পড়েছিল অষ্টম উইকেট। সেটি কাল বিকেলের কথা। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের ৯২তম ওভার ছিল সেটি। তারপর থেকেই বাংলাদেশের অপেক্ষার শুরু। যে অপেক্ষা শেষ হয়েছে আজ সকালের সেশনের ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে। মিস ফিল্ডিংয়ে রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন পেরেরা। পরের ওভারেই সাকিবের দ্বিতীয় বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সুরঙ্গা লাকমল।
একটা লম্বা সময় বাংলাদেশের বোলারদের হতাশার কারণ হয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা-সুরঙ্গা লাকমল। নবম উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেছেন ৮০ রান। পেরেরা রান আউটে কাটা পড়ায় ভেঙেছে এই জুটি। তার আগেই পেয়ে গেছেন নিজের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি।
পাঠকের মন্তব্য