চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারকাজ নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের ভেতরে বসছে বিশেষ আদালত।
আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বুধবার কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার ৭ নম্বর কক্ষে নতুন এজলাসে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান। তবে আজ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী।
এদিন খালেদা জিয়া আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এখানে আদালত চলতে পারে না। আমি অসুস্থ। ডাক্তার বলেছেন, পা ঝুঁলিয়ে না রাখার জন্য। তাই পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে পারবো না। আমি এখানে আসতে পারবো না। আপনারা যা খুশি তাই করেন, যত দিন ইচ্ছা সাজা দেন।’
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আধা ঘণ্টারও কম সময় আদালতের কার্যক্রম চলার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা না থাকায় শুনানি মুলতবি করে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করে দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।
আদালতকে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এখানে বিচার পাওয়া যাবে না। তাকে জেলে রাখতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।’ তার আইনজীবীদের আসতে দেয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওইদিন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
পাঠকের মন্তব্য