টাঙ্গাইলে বাসে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্ষণের শিকার মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর (২৫) পরিচয় মিলেছে।
তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানায়। গত ২৩ আগস্ট তিনি রাজধানীর বোনের বাসা থেকে নিখোঁজ হন। এই বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আজ রোববার পরিবারের সদস্যরা টাঙ্গাইলে নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা তরুণীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
তাকে পরিবারের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্বজনেরা।
তার পবিরারের সদস্যরা জানান, গত মাসের শুরুতে ওই তরুণী কুষ্টিয়ার মিরপুরের নিজ বাড়ি থেকে ঢাকার সবুজবাগে বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। ঈদের পর দিন কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুজির পরও কোথাও তাকে না পেয়ে তার বোন সবুজবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। শনিবার টাঙ্গাইল থেকে তথ্য পেয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা পুলিশ তাদের গ্রামের বাড়িতে খবর দেয়। পরে রাতে তার পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় এসে ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টাঙ্গাইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু যাওয়ার পথে বাসের চালক আলম খন্দকার ও সুপারভাইজার বিষুর ধর্ষণের শিকার হয় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার ও হেলপার নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে। বাসের চালক আলম ও সুপারভাইজার বিষু পালিয়ে যায়।
পরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক নূরে আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে নাজমুলকে টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হলে সেখানে সিনিয়র বিচারিক হাকিম মো. আশিকুজ্জামানের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
শনিবার ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার পর পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে হাজির করে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করা হলে আদালত তাকে গাজীপুরের পুবাইলে সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।
পাঠকের মন্তব্য