‘নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন হবেই। নির্বাচন ঠেকানোর মতো শক্তি কারো নেই।

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র আছে, ষড়যন্ত্র থাকবে, জনগণ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। কারো হুমকিতে ঘরে বসে থাকলে চলবে না, কাজ করতে হবে। যতক্ষণ শ্বাস আছে ততক্ষণ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।

নেপালে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিষয়ে রোববার বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে লিখিত বক্তব্য রাখেন তিনি। এরপর শুরু হয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের পালা।

নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা থেকে সরে গেলে যারা একবার ক্ষমতায় বসে তারা আর ছাড়তে চায় না। মার্শাল ল’, সামরিক শাসন ও কেয়ারটেকার সরকারের এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ সঙ্গে থাকলে নির্বাচন হবে। ইলেকশন ঠেকানোর মতো কারও কোনো শক্তি নেই। এই দেশটা আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সে কারণে এ দেশের মানুষের জন্য কাজ এবং উন্নয়ন করা দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালত এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছে। যদি সরকার মনে করে, এ সুযোগ পরপর দুইবার নিতে পারে। তবে সংসদ সে সুযোগ নেয়নি। একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারে যাওয়ার যে সময় ওই সময়ে যেন কোনো ফাঁক না থাকে সেজন্য এটা করা। এ বিষয়ে আমি ভারত ও নেপাল সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশ্বের প্রত্যেকটা দেশে এ ব্যবস্থা আছে।

ইভিএম বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঘোষণা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ে তুলবো। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার তারই একটি পার্ট। ইভিএম নিয়ে আসার জন্য আমিই পক্ষে ছিলাম। এখনও পক্ষে আছি। তবে হ্যাঁ, তাড়াহুড়ো করে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।’

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ‘বে অব বেঙ্গল ইনেশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’(বিমসটেক) সম্মেলনে যোগ দিতে দুদিনের সরকারি সফরে নেপাল যান। শুক্রবার দুপুরে দেশে ফেরেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেট: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:২৬
অনলাইন ডেস্ক

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন