গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী প্রেম করে বিয়ের পর পরিবার মেনে না নেওয়ায় এক সঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার দুপুরে কাপাসিয়ার আড়াল গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতরা হলো- সাহিনা আক্তার নিপা (১৬) ও হৃদয় হোসেন (১৭)। নিপা উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল গ্রামের হানিফার মেয়ে এবং আড়াল জিএল উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আর হৃদয় হোসেন উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের ইকুরিয়া গ্রামের আফজাল হোসেন ভূইয়ার ছেলে এবং ইকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খলিলুর রহমান মোল্লা ও স্থানীয়রা জানান, হৃদয় ও নিপার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছু দিন পূর্বে উভয় পরিবারের অমতে তারা গাজীপুর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের ঘটনা জানাজানি হলে উভয় পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এক পর্যায়ে নিপা তার বাবা-মাকে রাজি করিয়ে তারা নিপাদের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা উভয়ে বিষপান করে বাড়ির বারান্দায় এসে বমি করতে থাকে। এ দেখে নিপার মার আত্মচিৎকার শুরু করে। পরে লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিপাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং হৃদয়কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে হৃদয়কে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিপার বাবা হানিফ মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘গত ৫ দিন আগে কাউকে না জানিয়ে হৃদয় নিপাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। হৃদয়ের পরিবারের লোকজন নিপার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ও আমাদের পরিবার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে। সহ্য করতে না পেরে নিপা আবার আমাদের বাড়িতে ফিরে আসে।’’
হৃদয়ের বাবা আফজাল হোসেন জানান, কোনো ঝগড়া হয়নি, কী কারণে তারা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে, তা তার জানা নেই।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য