বড়পুকুরিয়ার ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার তদন্তে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল পৌনে ১০টা দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদকৃতরা হলেন, পেট্রোবাংলার উপমহাব্যবস্থাপক (মেনটেনেন্স অ্যান্ড কন্টাক্ট ম্যানেজমেন্ট) মো. নাজমুল হক, ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান এবং ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. সাইদ মাসুদ।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে সংস্থাটির উপব্যবস্থাপক (মেনেটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মাহাবুব হোসেন; সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহাবুব রশিদ ও ব্যবস্থাপক (স্টোর) মো. দিদারুল কবিরকে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট ওই সব কর্মকর্তাসহ পেট্রোবাংলার ৩২ জনকে তলব করে চিঠি দেয়। যাদেরকে আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১ আগস্ট বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব ও মহাব্যবস্থাপক (সারফেস অপারেশন) সাইফুল ইসলাম সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
এক লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা ঘাটতির অভিযোগে বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কোম্পানির সদ্য প্রাক্তন এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। তফসিলভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।
মামলায় ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার জন্য চিঠি দেয় দুদক।
পাঠকের মন্তব্য