জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে চিঠি পাঠাবে বলে জানিয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক আজ এ কথা জানান। বুধবার কমিশন কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আজ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান কমিশনের চেয়ারম্যান। এ সময় কমিশনের সদস্য ও কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।
শোক দিবস উপলক্ষে পরে কমিশন কার্যালয়ে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বাঙালি আজকের অবস্থানে আসতে পারতো না। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনের অর্ধেক সময় কারাগারে কাটিয়েছেন কেবল এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। অথচ একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের চক্রান্তে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের প্রতিটি সদস্য স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনও আপোস করেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য কিভাবে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তার খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে এনে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হবে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে খুন করে দুর্বৃত্তরা। একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। বিচারে ১২ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ আসে আদালতের রায়ে। পরবর্তী মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২০১০ সালে ১২ খুনির মধ্য থেকে পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তবে এর আগে ২০০১ সালে আরেক আসামি আজিজ পাশার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় জিম্বাবুয়েতে। বাকি ছয় আসামি বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে।
জানা গেছে, তাদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায়, রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে, মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে এবং শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে। তাছাড়া খন্দকার আবদুর রশিদ পাকিস্তানে আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে আরেক আসামি আবদুল মাজেদ কোন দেশে পলাতক আছে, তার কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পাঠকের মন্তব্য