শহরে এলাকা ভিত্তিক লেটপার্ক গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং। ১৮ মার্চ শনিবার ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি ১১ তে কাকলি স্কুলের সামনে পার্কলেট প্রদর্শনীর আয়োজন করে তারা।
আয়োজকেরা জানান, পার্কলেট সাধারনত একটি বা দুইটি গাড়ি পার্কিং স্থান ব্যবহার করে পার্কলেট তৈরি করা হয়। পার্কলেট স্থাপনের উদ্দেশ্য হলো মানুষ রাস্তায় চলাচলের সময় যেনএমন একটি জায়গা পায় যেখানে তারা অবসর যাপন করতে পারে। আড্ডা দিতে পারে, খেলাধূলা করতে পারে। পার্কলেট দুই ধরনের হতে পারে- কয়েক ঘন্টার জন্য অস্থায়ী পার্কলেট এবং স্থায়ী পার্কলেট।
২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে প্রথম পার্কলেট কর্মসূচী শুরু হয়। বর্তমানে সান ফ্রান্সিসকোতে ৫০টি পার্কলেট রয়েছে। এই উদাহারন গ্রহন করে পৃথিবীর অন্যান্য শহরেও পার্কলেট গড়ে উঠছে। ২০১৫ সালে থেকে দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং উদ্যোগে ঢাকায় সাতটি ও চট্রগ্রামে একটি পার্কলেট প্রদর্শন করে।
দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা দেবরা ইফরইমসন (আনিমা ভাবি) বলেন, ‘গাড়ি পার্কিং এর জন্য যত জায়গাই দেওয়া হোক না কেন চাহিদা শেষ হবে না। একমাত্র সমাধান হলো গাড়ি পার্কিং এর স্থান কমানো। ঢাকা শহরে গাড়ি পার্কিং এ প্রচুর জায়গা নষ্ট হয়। আসুন আমরা পার্কলেট স্থাপন করে শিশু ও বৃদ্ধাসহ সকলের বিনোদনের ব্যবস্থা করি।’
দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর পরিচালক মীর সাফী বলেন, যত্রতত্র ব্যাক্তিগত গাড়ি পার্কিং করে নগর জীবন সংকুচিত করে ফেলছে। মানুষের হাঁটা ও চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করছে। প্রতিটি এলাকায় পার্কলেট স্থাপন করা প্রয়োজন। যেখানে শিশুরা খেলাধুলার সুযোগ পাবে, সব মানুষ অবসর যাপন করতে পারবে।
দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিয়িং এর যুব সংগঠক ম্যান্ডি ইন্দ্রাণী মুখুটি একুশ শতককে বলেন, ‘ ঢাকা শহরে পার্কলেট গড়ে তোলা হলে বয়স্ক মানুষ, শিশু, বয়স্ক, যুবক, প্রতিবন্ধি মানুষসহ সকলে একটি সুন্দর মনোরম বিনোদনের জায়গা পাবে। ফলে প্রতিবেশির সাথে সামাজিকতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিনত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে’।
পাঠকের মন্তব্য