বাংলাদেশে গত আট বছরে তামাক সেবনকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, যা তামাক নির্মূলে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কার্যকারিতার প্রমাণ দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে ২০১৭’ জরিপে বাংলাদেশে তামাকসেবীর হার কমার চিত্র এসেছে, যা মঙ্গলবার উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা সন্তুষ্ট হলেও একইসঙ্গে সতর্ক করে বলছেন, তামাকের ব্যবহার সাময়িকভাবে কমে আসার পর আবার বেড়েছে, বিশ্বে এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে ২০১৭ জরিপটি চালায়।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশ তামাকের ব্যবহার ৮ শতাংস হ্রাস পেয়েছে। তামাকের ব্যবহার কমার তুলনামূলক হার প্রায় ১৮ শতাংশ, যা তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করে।
“যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সহজ তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং যথাযথভাবে তামাকজাত দ্রব্যের উপর করারোপ করা হয় তাহলে তামাকের ব্যবহার আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালে দেশে তামাক সেবনকারী ১৫ ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থ্যাৎ তিন কোটি ৭৮ লাখ।
২০০৯ সালে গ্যাটসের প্রথম জরিপে এই বয়সী তামাকসেবীর সংখ্যা ছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থ্যাৎ এই বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৮ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।
তামাক বর্জনের এই চিত্রে এগিয়ে আছেন পুরুষরাই; ৫৮ শতাংশ থেকে কমে এসে ৪৬ শতাংশ পুরুষকে তামাকসেবী বলা হয়েছে জরিপে।
অন্যদিকে নারীদের মধ্যে তামাক বর্জনের হার কমেছে সামান্যই; ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ধূমপান কমে এলেও মুখে তামাক খাওয়ার অভ্যাস এখনও কমে আসেনি নারীদের মধ্যে।
পাঠকের মন্তব্য