টেস্ট ও ওয়ানডের জাতীয় দলে জায়গা হারিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ পেয়েও হতাশ করেছেন। তবে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে জ্বলে উঠলেন সৌম্য সরকার। তার ঝোড়ো ফিফটিতে প্রথম আনঅফিসিয়াল টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
ডাবলিনে সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১৫২ রান করেছিল আইরিশরা। সফরকারীরা সেটি পেরিয়ে গেছে ১২ বল বাকি থাকতেই। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
সৌম্যর এই সফরে যাওয়ার কথা ছিল আরো আগেই। খেলার কথা ছিল আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজেও। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়ায় টি-টোয়েন্টি খেলতে তাকে উড়িয়ে নেওয়া হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। কিন্তু তিন ম্যাচ মিলিয়ে করেন মাত্র ১৯ রান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অবশেষে রানের দেখা পেলেন ‘এ’ দলের হয়ে। দলকে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকে।
আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে এদিন মাঠে নেমেছিলেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড, কেভিন ও’ব্রায়েন, জর্জ ডকরেলের মতো অভিজ্ঞরা। ওয়ানডে সিরিজে আইরিশদের নেতৃত্ব দেওয়া অ্যান্ডু বালবির্নি টি-টোয়েন্টিরও অধিনায়ক। তবে অভিজ্ঞদের কেউই বলার মতো কিছু পারেননি।
স্টুয়ার্ট থম্পসনের ২৮, সিমি সিংয়ের ৪১ রানের সুবাদে দেড়শ ছাড়ানো পুঁজি পেয়েছিল আইরিশরা। ও’ব্রায়েন ১২ বলে করেন ২১ রান।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও আফিফ হোসেন।
লক্ষ্য তাড়ায় শূন্য রানেই জাকির হাসানের উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সেখান থেকে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন সৌম্য ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৩ বলে ৭ চারে শান্ত ৩৮ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি।
শান্ত ফিরলেও মোহাম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর একশ পার করেন সৌম্য। ৪ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন দুজনই। মিথুন ৭ বলে ৮ ও সৌম্য ৪১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫৭ রান।
ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন আফিফ। ২১ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আল-আমিন ও মিজানুর রহমানের উইকেট না হারালে আরো বড় জয়ই পেতে পারত বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
বুধবার একই মাঠে হবে দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
পাঠকের মন্তব্য