আমি আর কিছুদিন বাচতে চাই, কাজ করতে চাই সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য।
পুরো নাম শানজিদা আক্তার কলি, অনেকেই ডাকতো ‘কথাকলি’ বলে। বসন্তের ফুটন্ত ফুলের কলির মতোই দুরন্ত আর চঞ্চলতায় দিনকাটতো ছোট-ছোটি আর দুষ্টুমিতে। পাশের বাড়ির গাছের পেয়ারাগুলো বেশ টসটসে। কথাদের বাসার ছাদের আমগুলো খুব মিষ্টি, আজকে য়েভাবেই হক সেগুলো হাতাতে হবে, আর সন্ধায় বাড়ির সব বাচ্চাকাচ্চা বাহিনী নিয়ে আসর জমাতে হবে সেগুলো সাভার করতে।সারাদিন লোটপুটি আর হাসি-খুশিতে দিন করতো কলির। কিন্তু সেই হাসির মাঝে কঠিন কষ্ট আর দুঃখ নিয়ে দিনযাপন করছিলো ১৭ বছরের দুরন্ত মেয়ে শানজাদি কলি।
১১ বছর বয়সে ধরা পড়েছিলো হার্টে ছোট একটা ফোটা আছে, ডাক্তার বলেছিলো একটা ঔষধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে।
চিন্তার কোন কারন নেই, কিন্তু সেই চিন্তাই আজ দুশ্চিন্তা কারন হয়ে দাড়িয়েছে তার জীবনে।
কথায় আছে দারিদ্রের ঘরেই যত দুঃখ কষ্টের বসবাস।
ছোট বেলা থেকেই জীবনে কঠিন লড়াই করে চলছে দারিদ্রের আর অভাবের সাথে। কারন ছোট বেলায়ই মেয়েটি হারিয়েছে তার মাকে কে কিছুদিন না যেতেই বাবাও চলে গেলেন পরপারে। সমাজে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মতোই জীবন শুরু হয়েছিলো ছোট মেয়ে শাহাজাদি কলির।
সবাইকে হারিয়ে নতুন একটা পরিবার পেয়েছিলো কলি। যেখানে সবাইকে আপন করে নিয়েছিলো সে, সেখালেই লালিত -পালিত হয় শাহাজাদি কলি। বাবা-মা হারিয়ে আবার বাবা,মা ভাই বোন পায়েছিলো সে । যেখানে দারিদ্র্যের অতি আদরেই বড় হতে থাকে সে । যখন কলির বয়স নয় তখন হঠাৎ একদিন বুকের এক পাশে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয় পরে ডাক্তার দেখালে ধরা-পড়ে হার্টের ছোট ছিদ্র আছে বলে। ডাক্তারের পরামর্শেই ঔষধ খেয়ে যাচ্ছিলো কলি। কিন্তু গত ১৯ তারিখে হঠাৎ করে বুকের ব্যাথা শুরু হয়, পরে জরুরি ভিক্তিতে ময়মনসিংহ মেডিকেলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার কোন উন্নতি না দেখে ডাক্তার ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে রেফার করে।
ঢাকা থেকে ডাক্তার জানিয়েছ হার্ডের ছিদ্র
হয়ে গেছে যা আগের থেকে আরো বড় হয়েছে, এখন তা অরাপেশন করে তা ব্লক করতে হবে। ডাক্তার জানিয়েছে তাকে বাচাঁতে অানুমানিক ব্যয়ভার ন্যুনতম ৫০০০০০( পাঁচ লক্ষ) টাকা বা তার চেয়েও বেশি টাকা লাগতে পারে । যে পরিবারে তার বড় হওয়া যাকে কলি বাবা বলে ডাকতো সে বাবাও একজন ক্যান্সারের রোগী, মা সংসার চালাচ্ছেন কোনো রকমে।
বাবার ক্যান্সারের চিকিৎসা টাকা জোগান করতেই হিমশিম খাচ্ছেন মা, এখন নতুন করো এতো টাকা জোগান করার মতো কোন সামর্থ্যই নেই কলির পরিবারের।
এমতাবস্তায় কলির চিকিৎসা খরচ চালানো পরিবারের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না ।
দুরন্ত আর হাসিখুশি তরুণী কলি এখন হাসপাতালের ব্যাডে শুয়ে টাকার অভাবে মৃত্যুর দিন গুনছে।
যে মেয়েটি ময়মনসিংহের ভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনে সেচ্ছাসেবী হিসাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলো মানবতা কল্যাণে।
যে মেয়েটি অসুস্থ রোগীদের বাচাতে ভিন্ন সময় নিজে রক্ত দেয়ার জন্য ছটপট করতো ।
কারো রক্তের প্রয়োজন শুনলেই ছুটে যেতে এর কাছে ওর কাছে রক্ত জোগাড় করার জন্য।
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কষ্ট কেমন হয় তা নিজের জীবনের উপলব্ধি থেকে শিক্ষা নিয়ে, একটি শিশুও যেন সুবিধা বঞ্চিত না থাকে সে লক্ষে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত
শিশুদের নিয়ে কাজ করতো যে মেয়েটি, সেই মেয়েটি আজ শুয়ে আছে হাসপাতালের ব্যাডে । যে মেয়েটি স্বপ্ন দেখে পরিবর্তনের প্রতিনিধি হবে সমাজে অসহায় আর সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে দাড়াবে, সে আজ শেষ নিশাস ত্যাগের অপেক্ষা করছে।
আমরা কি পারি না, তার জন্য কিছু করতে,,?
আমরা সবাই চাইলেই পারবো একজন স্বেচ্চাসেবীকে বাচাঁতে ।
আসুন মানবতার তরে পাশে দাড়াই।
শানজাদি কলির চিকিৎসায় সমাজের সকলের কাছে সহযোগীতা কামনা করছে তার বাবা-মা।
ডাচ্ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার :-২৩১১০৫৭৯২২
বিকাশ (পার্সোনাল) :- ০১৯৩৩-২৮২৯৭৫
ডাচ্ বাংলা ( রকেট) :- ০১৯২৭-৮৫৫২৭৯-২
বিস্তারিত তথ্য জানতে ফোন দিতে পারেন ( কলির ভাই):- ০১৭৬৮-৯৭৬৮০৪
পাঠকের মন্তব্য