দৃষ্টিহীন কোরআন হাফেজ

দৃষ্টিহীন কোরআন হাফেজ মাসুদুর রহমান।
দৃষ্টিহীন কোরআন হাফেজ মাসুদুর রহমান।

চোখে আঁধার নেমে এসেছিলো জন্মের ১ বছর পরেই।বয়স এখন ৩৫ বছর। অর্থাৎ দীর্ঘ ৩৪ বছর যাবৎ তিনি পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত। অন্ধ হওয়া সত্যেও তিনি থমকে যাননি।তিনি পবিত্র কোরআন হাফেজ। কোরআন মুখস্ত করেন ব্রেইল নামক পদ্ধতিতে। তবে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন ওভারব্রীজে পোঁকামাকড় এর ঔষধ বিক্রি করে। তার নাম মোঃ মাসুূদুর রহমান। গ্রামের বাড়ি বরিশালে। পোকামাকড় এর ঔষধ বিক্রি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত চিটাগাংরোড এলাকার একটি ওভারব্রীজ এর ওপর। পোকামাকড় এর ঔষধ বিক্রি করেন ৬-৭ বছর যাবৎ। তার আগে মাদ্রসায় শিক্ষকতা করতেন।তার পরিবারে আছেন বাবা-মা ও স্ত্রীসহ ৫ বছর এর একটি পুত্রসন্তান। শিক্ষকতার মতো সম্মানজনক পেশা ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,” মাদ্রসায় শিক্ষকতা করে যে টাকা বেতন পেতাম,সে টাকায় সংসার চালাতে আমার খুব কষ্ট হয়ে যেতো।তাছাড়াও সময়মত বেতনও পেতাম না।আর আমি কোন ভাল কাজকে খাটো করে দেখি না “। বর্তমান সময়ে কিছু কিছু অন্ধ ব্যক্তিরা ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে।এ বিষয়ে মাসুদুর বলেন,” যারা অন্ধ হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়,তাদের উচিত ভিক্ষা ছেড়ে অন্য কোন সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করা “। মাসুদুর রহমান এর স্বপ্নটা আকাশচুম্বী। তিনি পোকামাকড় এর ঔষধ বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেন, তার থেকে কিছু টাকা তিনি সঞ্চয় করেন।সেই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ভবিষ্যতে তিনি একটি পোকামাকড় এর ঔষধ এর দোকান দিতে চান।আর সেই দোকানে পোকামাকড় এর ঔষধ বিক্রি করে তিনি যে অর্থ উপার্জন করবেন, তার থেকেও কিছু টাকা সঞ্চয় করবেন। মাসুদুর এর স্বপ্ন, সেই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে তিনি একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করবেন।

সর্বশেষ আপডেট: ৪ জুলাই ২০১৮, ০৮:৫৬
এস. কে. শাওন
ফিচার প্রতিবেদক

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন