রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সর্বনিম্ন ৮ হাজার ৩০০ ও সর্বোচ্চ ১১ হাজার ২০০ টাকা করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন, ২০১৫ এর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি স্কেল ও ভাতা অনুমোদন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নতুন মজুরি স্কেলে ১৬টি গ্রেড রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। একই সঙ্গে পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরির শর্তাবলী) আইন, ২০১৮-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সর্বশেষ জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন ২০১০-এ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়িয়েছিল। ওই সময় সর্বোচ্চ মজুরি ৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে মজুরি কাঠামো ঠিক করা হয়েছিল।
২০১৫ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকুরেদের বেতন বৃদ্ধির পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানকে চেয়ারম্যান করে জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ গঠন করা হয়। কমিশন গত বছরের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিটি প্রতিবেদনে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার ৩০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬০০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল। পরে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য