রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আব্দুস সালামকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ করেছে কর্মচারিরা। এসময় তারা খুনিদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে নিহতের ছেলে নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আটককৃতের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে রুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কর্মচারিরা। এসময় তারা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে খুনিদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এরপরও গ্রেফতার না হলে লাগাতার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এ সময় ভিসির অপসারণ দাবি করেও স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
আল্টিমেটামের বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্মচারি সমিতির সভাপতি মহিদুল ইসলাম মোস্তফা বলেন, বাসচালক আব্দুস সালামের খুনিদের গ্রেফতার দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এরপরও গ্রেফতার না হলে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা দেওয়া হবে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, বাসচালক হত্যাকা-ের ঘটনায় নিহতের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
‘নিহতের ছেলের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধের জের ধরে মামলা ও আব্দুস সালামের পদোন্নতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে মামলার তদন্ত চলছে’- বলেও জানান ওসি।
শাহাদত হোসেন আরো বলেন, ২০১৪ সালে আব্দুস সালামের ছেলে পলাশের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মারামারি হয়। ওই ঘটনায় পলাশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। গত রোববার ওই মামলার সাক্ষী দেন আব্দুস সালাম। এর পরদিনই খুনের ঘটনা ঘটে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের শেখ হাসিনা হলের সামনে বাসচালক আব্দুস সালামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এর দুই সপ্তাহ আগে আব্দুস সালাম গাড়ির সহকারী থেকে চালক হিসেবে পদন্নতি পান।