বাংলা নববর্ষ বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অধ্যায়। ব্যস্তনগরীতে যে দু’একটা দিবসকে সামনে রেখে উসযাপনে মেতে উঠে নগরবাসী তার মধ্যে অন্যতম পহেলা বৈশাখ। বৈশাখকে বরণ করার জন্য ব্যস্ততা বাড়ছে । পহেলা বৈশাখের জন্য প্রকৃতি না যতটা ব্যস্ত তার চেয়ে এ দেশের মানুষ আরো বেশি ব্যস্ত। তবে প্রকৃতিও ঝড়-বৃষ্টির মাধ্যমে তার আগমনের সংবাদ জানিয়ে দিচ্ছে।
বৈশাখে পরিবারের কোনো সদস্য আর বাদ যায় না নতুন পোশাক পরার জন্য। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য কেনা হয় নতুন পোশাক। তবে বৈশাখকে কেন্দ্র করে শুধু যে পোশাক কিনতেই হবে এমন নয়। এখানে সবাই পহেলা বৈশাখে মেলায় যায় মুড়ি-খৈ এবং আর যার যা পছন্দ তা কিনে নিয়ে আসে। পুরো নগরী যেন তখন হাসতে থাকে। এদিন আমরা কেউই ধার-দেনা করি না। মনে করি বছরের প্রথম দিনে ধার করলে সারা বছরই ধার করতে হবে।
ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটে রাহেলা নামের এক গৃহিণীর সঙ্গে কথা হয়। বৈশাখকে কেন্দ্র করে তিনি কেনাকাটার এক বিশাল তালিকা নিয়ে এসেছেন। সে তালিকায় মাটির তৈজসপত্র থেকে শাড়ি, পাঞ্জাবি, জুতা, চুড়ি এমনকি গৃহকর্মীর জন্য আলাদা একটা তালিকা নিয়ে এসেছেন। এসব কেনাকাটা পহেলা বৈশাখের আগের দিন পর্যন্ত করবেন। এতে তিনি মোটেও ক্লান্ত নন। বরং আনন্দিত।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বর্ষা জানায়, ‘পহেলা বৈশাখে সাদা-লাল শাড়ি পড়বো। সারাদিন বন্ধুদের সঙ্গে ইচ্ছামতো ঘুরবো। সকালে বাসা থেকেই পান্তা-ইলিশ খেয়ে বের হবো।’
গেল কয়েক বছরে নববর্ষ উদযাপনে প্রশসানের চাপ প্রয়োগের মধ্যেও ভাটা পড়েনি আনন্দ উদযাপনে। এবারও পহেলা বৈশাখ আনন্দময় হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা সকলের।
পাঠকের মন্তব্য