জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ৪১ ব্যাচের এমপিএ থিসিস ফলাফল সংক্রান্ত বেনামি চিঠির (অভিযোগপত্র) সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই ওই থিসিস গ্রুপের শিক্ষার্থীদের। বুধবার এ বিষয়টি অবহিত করে ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বরাবর একটি আবেদন করেছেন ওই বিভাগের এমপিএ থিসিস গ্রুপের শিক্ষার্থীরা।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এমপিএ থিসিস গ্রুপের ছাত্রছাত্রী। আমাদের এমপিত্র ফলাফল সংক্রান্ত যে অভিযোগপত্র বা বেনামি চিঠি দেওয়া হয়েছে আমরা সে ব্যাপারে অবগত নই এবং এই অভিযোগ পত্রের সাথে আমাদের কোনো ধরনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃত্ততা নেই। এমনকি এমপিএ ফলাফল নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগও নেই। এই বেনামি চিঠিতে যে বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমপিএ থিসিস গ্রুপে মোট ৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ আবেদনপত্রে ভুক্তভোগী আতিফা কাফি ব্যতীত স্বাক্ষর করেন মোহাম্মদ নূর উল্লাহ, মাহমুদুল হাসান, আয়শা সিদ্দিকা, রোকসানা আক্তার বৃষ্টি, শুভ কুমার সাহা, এ. এইচ. এম আশিকুজ্জামান। রোববার এ থিসিস গ্রুপের শুভ কুমার সাহা, আয়শা সিদ্দিকা ও রোকসানা আক্তার বৃষ্টি পিত্র-৫০১,পিত্র-৫০৩ ও মৌখিক পরীক্ষা এ তিনটি বিষয়ে কি কি দুর্বলতার কারণে তাদের ফল বিপর্যয় হয়েছে তা জানতে চেয়ে ভিসি বরাবর একটি আবেদন করেছিলেন। সোমবার লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম কোনো অভিযোগপত্র পাননি বলে জানিয়েছেন।
থিসিস গ্রুপের ৬ শিক্ষার্থীর ভিসি বরাবর করা আবেদনপত্রের বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি ড. জেবউননেছা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়া মঙ্গলবার বিভাগের কোনো শিক্ষককের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিভাগের ফলাফল সংশ্লিষ্ট অনৈতিকতার ঘটনায় ‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি’ গঠনের জন্য ভিসি বরাবর আবেদন করেন ড. জেবউননেছা। এ তদন্ত কমিটির বিষয়েও তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি। তবে সাংবাদিকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো নিউজ করার ফলে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে তিনি এ বিভাগ নিয়ে আর নিউজ করতে না করেন।
পাঠকের মন্তব্য