‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- এ স্লোগানে কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১১.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নাজমুল হক শ্রেয়াসের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন ও জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আদনান ফাহাদ। নাসিম আক্তার হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, কোটা কখনোই মেধার বিকল্প হতে পারে না। যে কোটা শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য তৈরি করে তা আইনসম্মত নয়। তিনি অবিলম্বে কোটা প্রথার সংস্কার দাবি করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ আদনান ফাহাদ বলেন, আমরা একটি সমতা ভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র প্রত্যাশা করি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে আমরা কোনো মেধাবীর স্বপ্ন ধ্বংস হতে দিতে পারি না।
মানববন্ধনে আরেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন বলেন, আমার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কোটা ব্যবস্থার কারণে মেধার অবমূল্যায়নের পক্ষে নন। তানভীর হোসেন আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ সমস্ত কোটা বিলুপ্ত করার দাবি জানান । এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন করে চাকরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সমতার দাবি জানান বক্তারা।
কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের দাবি হল- কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ দেওয়া; নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা; কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া এবং চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।