হোয়াইট হাউজে বাধার মুখে সংবাদকর্মীরা

সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, পলিটিকো, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস ও বাজফিডের প্রতিবেদকদের সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, ছবি তোলার বা ভিডিও করারও অনুমতি পাননি সংবাদকর্মীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রধান সংবাদ সংস্থাকে হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতে দেয়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

শুক্রবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারের ওই সংবাদ সম্মেলনে রীতিমতো ‘তুলোধুনা’ করা হয় আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদকদের।

সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, পলিটিকো, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস ও বাজফিডের প্রতিবেদকদের সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, ছবি তোলার বা ভিডিও করারও অনুমতি পাননি সংবাদকর্মীরা।

অবশ্য ঠিক কী কারণে হোয়াইট হাউজের এমন কঠোর অবস্থান তা খোলাসা করেননি প্রেস সেক্রেটারি, যারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

অবশ্য রয়টার্স, ব্লুমবার্গ ও সিবিএসের মতো আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিনা-বাধায় সংবাদ সংগ্রহ করতে পেরেছে।

শন স্পাইসার বলেন, “আমরা সঠিকভাবে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছি কিনা সেটাই আমাদের কাজ। আমরা আপনাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত করতে চাই; তাই বলে এই নয় যে প্রতিবারই ক্যামেরার সামনে সব বলতে হবে।”

ক্যামেরা বন্ধ রেখে সংবাদ সম্মেলনের এই ধারণা নতুন কিছু নয়। তবে হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে সব সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ এবং প্রশ্ন করার রীতি অনেক পুরনো।

হোয়াইট হাউজের এমন ‘কাণ্ডে’ সুবিধাবঞ্চিত কয়েকটি সংবাদ সংস্থা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমের নির্বাহী সম্পাদক ডিন ব্যাকেট বলেন, “আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটতে দেখিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমস ছাড়াও বাকিরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

হোয়াইট হাউজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনও এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে তীরষ্কার করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সপ্তাহেও তিনি টুইটারে লেখেন: “ফেইক নিউজ মিডিয়া (নিউ ইয়র্ক টাইমস, এনবিসিনিউজ, সিবিএস, সিএনএন) শুধু আমার শত্রু নয়, তারা আমেরিকার জনগণের শত্রু।”

নির্বাচনের প্রচারাভিযানে ট্রাম্পের শিবির বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে খবর সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, যার মধ্যে ওয়াশিংটন পোস্ট, বাজফিড ছিল।

হোয়াইট হাউজের এমন সিদ্ধান্তকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সমালোচকরা। রয়টার্স।

সর্বশেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭, ০৩:৪০
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ আপডেট


বিনোদন