জাবিতে যত্রতত্র আগুন দিয়ে ঝোপ-ঝাড় পুড়িয়ে ফেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষার্থীরা।। ক্যাম্পাসে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সুইমিং পুলের পার্শ্ববর্তী এলাকা, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন এলাকা, এম এইচ হল ও শহীদ সালাম-বরকত হল সংলগ্ন এলাকা , কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির দক্ষিণ পাশ সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ঝোপঝাড় পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
অপ্রয়োজনে আগুন দিয়ে বুনো পাখি ও কীটপতঙ্গের বিচরণস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এদিকে অতিথি পাখির বিচরণস্থল লেকগুলোও দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠায় এ বছর পাখি কম এসেছে এবং আগেই চলে গেছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঝাড়ুদার ও বহিরাগত দর্শনার্থীরা বেশির ভাগ সময় আগুন দিয়ে থাকেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন সময় এমনটি করে থাকেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠলেও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির দক্ষিণ পাশের জঙ্গলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড়ে আগুন দেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের কারণে অতিথি পাখি কমেছে। এতে ঝোপঝাড়ে থাকা কীটপতঙ্গ ও বাস্তুসংস্থান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
এ বিষয়ে জাবির মুখ্য উদ্যানতত্ত্ববিধ ও এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন,‘ লাইব্রেবির ওখানে আগুন নিভাতে গিয়ে আমার অফিসের এক লোক আহত হয়েছে। আর এ বিষয়টি তো নিরাপত্তা শাখার দেখার কথা।