ক্রমাগত রাজনৈতিক চাপের মুখে অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশন ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
টেলিভিশনে দেয়া দীর্ঘ ভাষণের শেষদিকে এসে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও, তার দাবি তিনি ভুল কিছু করেন নি। এর আগে তিনি আরও বলেছিলেন যে, পদত্যাগ করার কোনও কারণ আছে বলে তিনি মনে করেন না। তার দল এএনসি তার সাথে যে আচরণ করেছে এবং যেভাবে পদত্যাগের জন্যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সেটিকে অন্যায় বলেও তিনি বর্ণনা করেন।
৭৫ বছর-বয়সী মি: জুমার ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল এএনসির নতুন নেতা সিরিল রামাফোসার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সরে দাঁড়ানোর জন্য। এমন প্রেক্ষাপটে মি: জুমার দল ক্ষমতাসীন এএনসি জানিয়ে দিয়েছিল, মি. জুমা বুধবারের মধ্যেই পদ থকে সরে না দাঁড়ালে তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।
২০০৯ সাল থেকে রাষ্ট্র-ক্ষমতায় ছিলেন মি: জুমা। তবে নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
যদিও তিনি তার সাধ্যমত দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন বলেও মি জুমা তার ভাষণে উল্লেখ করেন।
দেশটির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ কি?
মি: জুমার পদত্যাগের পর এএনসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তার পদত্যাগের পর ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের জীবনে নিশ্চয়তা ফিরেছে’।
এখন প্রেসিডেন্টর অবর্তমানে বর্তমান ডেপুটি প্রেসিডেন্ট মি রামাফোসাই এ মুহুর্তে দায়িত্বে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মি: জুমা সরে যতে বাধ্য হলেন এমন এক সময় যখন দেশটির অর্থনীতি চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। এএনসি’র নতুন নেতা মি: রামাফোসা বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতিকে পুনর্জীবিত করাই এখন তার মূল অগ্রাধিকার । বেকারত্ব সমস্যা, বিনিয়োগ বাড়ানো এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ করাও তার সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে।
পাঠকের মন্তব্য