সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আলাদা একটি ডেস্ক খোলার দাবি জানাবে বাংলাদেশ। ৩০ মার্চ সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় সভায় এ প্রস্তাব দেওয়া হবে। ওই ডেস্ক থেকে বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাব পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
আজ সচিবালয়ে এ–সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এ ছাড়া দেশভিত্তিক সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত করে আলাদা ধারা সংযোজনেরও প্রস্তাব করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ উত্থানের একটি অন্যতম কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অনলাইনেই জঙ্গিবাদের বিস্তার হচ্ছে। এসব বিষয়ও আলোচনায় আসবে।
তারানা হালিম বলেন, ভেরিফিকেশনের যে নীতি আছে, তা যেন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করা হয়; তারও প্রস্তাব করা হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার যে প্রবণতা, তা বাড়ছে বলেও জানান তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৫ সালে ৬৪টি অভিযোগ করা হয়েছিল ফেসবুকের কাছে। তার মধ্যে ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ সাড়া পাওয়া যায়। এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এটা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে ২০৩টি অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে ১১৪টি প্রস্তাবই গৃহীত হয়। চলতি বছরের মার্চে ৪৬টি অভিযোগ করে ৩৬টিতেই সাড়া পাওয়া গেছে, যা শতাংশের দিক দিয়ে ৭৯ শতাংশ। অর্থাৎ আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।’
অভিযোগগুলো কী ধরনের করা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্মীয় উসকানি বেশি ছিল। এরপরই ছিল জঙ্গিবাদ।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
পাঠকের মন্তব্য