কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ১৯৬৪ ও ২০০৬ সালের কারাবিধি অনুযায়ী বর্তমানে যাঁরা সাংসদ, তাঁরাই ডিভিশন পান। সাবেক প্রেসিডেন্টও পান। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পান না।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক।
সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া সাধারণ বন্দীর মতোই আছেন। তিনি শান্ত স্বভাবের। এ কারণে তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য একজন নারী ডিপ্লোমা নার্স ও চারজন নারী কারারক্ষী আছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত। আজ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, ‘আমরা শুনেছি আদালত ওনাকে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশের কপি এখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি। আদালতের কপি পাওয়ার পরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার ঠাঁই হয়েছে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। ওই কারাগারের সাবেক প্রশাসনিক ভবনের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়কের দপ্তরটিকে তাঁর থাকার উপযোগী করা হয়েছে। ওই কক্ষে খালেদা জিয়া একা থাকছেন। তাঁর সেবার জন্য দীর্ঘদিনের গৃহকর্মী ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার ব্যাপারে আদালতের আদেশ এখনো হাতে পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তবে সহায়তার জন্য কর্তব্যরত নারী কারারক্ষীরা প্রয়োজনে তাঁর খোঁজখবর নিচ্ছেন।
পাঠকের মন্তব্য