* চাওয়ার পরও স্বাগতিক দল কোনো সুবিধা পায়নি উইকেট থেকে।
* কেন হঠাৎই বদলে গেছে উইকেটের আচরণ, গামিনির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
* ফাইনালের পর রব ওঠে, উইকেট নিয়ে তথ্য পাচার করেছেন গামিনি।
শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে নিয়ে জাতীয় দলের অসন্তুষ্টি গোপন কিছু নয়। তাঁকে নিয়ে কথা বলে জরিমানাও দিতে হয়েছে তামিম ইকবালকে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দলের চাহিদা অনুযায়ী উইকেটও দিতে পারেননি গামিনি। ফাইনালের উইকেটের জন্য গামিনিকে কারণ দর্শাতে বলেছে বিসিবি।
ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুতেই জাতীয় দলের দাবি ছিল মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে গামিনি ডি সিলভাকে সরিয়ে দেওয়া হোক। ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কাকেই মূল প্রতিপক্ষ ধরে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে গামিনি লঙ্কান বলেই তাঁকে ঘিরে এমন সন্দেহ নয়, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে গামিনির বহুদিনের সখ্যই ছিল মূল বিষয়!
সন্দেহটা অভিযোগে মোড় নিয়েছে ফাইনালের পর। শ্রীলঙ্কান ইনিংসে শুরুতে ব্যাটসম্যানরা সহযোগিতা পেয়েছিল। বাংলাদেশ ইনিংসে সে উইকেটই বোলিং সহায়ক হয়ে উঠেছিল। অথচ ফাইনালের আগে গামিনির কাছে বাংলাদেশ দলের চাওয়া ছিল ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। কিন্তু ফাইনালে কিনা মিরপুরের পিচে রান তোলা হয়ে উঠল সবচেয়ে কঠিন কাজ! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একই উইকেটে বাংলাদেশ ৩২০ রানের পাহাড় গড়েছিল। কিউরেটর গামিনির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, কেন হঠাৎই বদলে গেছে উইকেটের আচরণ। চাওয়ার পরও কেন স্বাগতিক দল কোনো সুবিধাই পায়নি উইকেট থেকে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের পর চারদিকে রব ওঠে, ফাইনালের উইকেট নিয়ে তথ্য পাচার করেছেন গামিনি ডি সিলভা। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘ঘটনা যদি সত্যিই এমন ঘটে থাকে সেটা খুবই গুরুতর অপরাধ। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রমাণ নেই বিসিবির কাছে। তথ্য পাচারের বিষয়টি সত্য হয়ে থাকে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বিসিবি। এ বিষয়ে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
পাঠকের মন্তব্য