দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকা বাংলাদেশ দল হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছে! দুদিন আগেও যে দলটা ছিল বাহ্যত সুখী পরিবার, সেটিকে ঘিরেই এখন নানা সংকট। ফাইনালে হারটা বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। আরেক দুঃসংবাদ, ফাইনালে চোট পাওয়া সাকিব আল হাসান টেস্ট সিরিজেই এখন অনিশ্চিত। এদিকে দলের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই নেই প্রধান কোচ!
ওয়ানডেতে যে দলটি অভিজ্ঞতায় শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে ছিল, টেস্টে কিন্তু ঠিক তার বিপরীত। এমনকি সাকিবের বদলে যাঁর কাঁধে ওঠার কথা নেতৃত্বভার, সেই মাহমুদউল্লাহও আগে কখনোই টেস্ট অধিনায়কত্ব করেননি।
এ সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশ দলকে এক সুতোয় গাঁথাটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। যেটি সবচেয়ে ভালো করতে পারতেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। যদি তাঁকে বলা হয় টেস্টে ফিরতে, ফিরবেন মাশরাফি? কাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘যদি দলের দরকার হয় অবশ্যই আমি চেষ্টা করব। এখন মাহমুদউল্লাহ আছে (ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক)। আমার বিশ্বাস যে ও দলকে চালিয়ে নিতে পারবে। আর সব সিনিয়র খেলোয়াড়ই তাকে সমর্থন করবে।’
টেস্ট হচ্ছে মাশরাফির সবচেয়ে প্রিয় সংস্করণ। ক্রিকেটের এই সংস্করণের প্রতি তাঁর অসীম ভালোবাসা। কিন্তু বারবার চোটে পড়ায় ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে থমকে গেছে অভিজাত সংস্করণে তাঁর পথচলা। তবে এ মুহূর্তে দলের দরকারে তিনি টেস্টে ফিরতে প্রস্তুত। কিন্তু তাঁকে ফেরাতে বিসিবির ভাবনা কী?
বিসিবির ভাবনা কিন্তু ঠিক উল্টো। কাল ফাইনাল শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘টেস্ট মাশরাফির জন্য আদর্শ নয়। টেস্ট খেলা অনেক কঠিন। তাকে আমাদের প্রয়োজন আছে। তবে যদি সে চায় আমরা এখনই (বাংলাদেশ) টি-টোয়েন্টি দলে তাকে ফেরাতে পারি।’
তবে মাশরাফি টি-টোয়েন্টিতে ফিরতে মোটেও আগ্রহী নন। এমনিতেই টি-টোয়েন্টি তাঁর খুব একটা প্রিয় নয়। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় তাঁকে যেভাবে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা মন থেকে কিছুতেই মুছে ফেলতে পারেন না অধিনায়ক। মাশরাফির চাওয়া ছিল, অবসর নিতে হলেই দেশ থেকেই নেবেন। কিন্তু তাঁকে সে সুযোগটা দেওয়া হয়নি। আবার যদি তাঁকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরতে বলা হয়, ফিরবেন? মাশরাফি সরাসরি কিছু বলতে চান না। তবে যেটি বললেন, সেটির সারমর্ম দাঁড়ায়, জোর করলে খেলতে হবে। কিন্তু জোর করে যে ভালোবাসা হয় না!
পাঠকের মন্তব্য