রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু)। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবনে রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে নবীনদের হাতে কলম, নোটখাতা ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘যে দেশে আমরা বাস করছি এই প্রিয় জন্মভূমির প্রতি সংবেদনশীল হবে। মা, মাটি, মানুষের যে দায় বা ঋণ সেটা নিয়ে তোমরা কাজ করবে। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলেএই বিশ্ববিদ্যালয় এই অবয়বে আসতো না। তোমরা এই দেশের নাগরিক হয়ে যেই সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে তা পেতে না।’
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ বলেন, ‘ভালো বন্ধু নির্বাচনের পাশাপাশি কাজ করার জন্য ভালো সংগঠনও জরুরি। সাম্প্রদায়িক শক্তির মদদদাতা- পৃষ্ঠপোষক শক্তি থেকে আপনারা নিজেকে দূরে রাখবেন। কারণ এ দেশটি মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। যে পথে এখন বাংলাদেশ এগুচ্ছে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বাংলাদেশকে আরো উচ্চতরে নিয়ে যাওয়া।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘তোমরা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এখানে এসেছো। এই বিশ্ববিদ্যালয় কৃষক, মজুর, খেটে খাওয়া মানুষের টাকায় চলে। সুতরাং তাদের প্রতি তোমাদের অবশ্যই দায়বদ্ধতা রয়েছে। তোমরা শুধু নিজেদের জন্যই লেখাপড়া করবে না, যাদের কষ্টার্জিত টাকায় তোমরা লেখাপড়া করছো তাদের জন্য কাজ করবে।’
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শিহাবুল ইসলাম বলেন, ‘তোমরা বিভাগ থেকে তত্ত্বীয় শিক্ষা অর্জন করবে আর মাঠে কাজ করবে। আর সে কাজের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে রিপোর্টার্স ইউনিটি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিহুর রহমান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি কায়কোবাদ খানসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলী ইউনুসের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুসাইন মিঠু। এর আগে রুরু সদস্য গোলাম মোস্তফা নবীনদের উদ্দেশ্যে লিখিত অভিনন্দন বাণী পড়ে শোনান।
পাঠকের মন্তব্য